নিউজিল্যান্ডে বিগত ১০০ দিনে স্থানীয়ভাবে কেউ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হননি। দেশটিতে এ ঘটনা সাফল্যের মাইলস্টোন হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে আবার সংক্রমণ যাতে না হয়, এ জন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, লকডাউন শিথিল শুরুর করার পর থেকে ১ মে নিউজিল্যান্ডে সর্বশেষ করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হন। গতকাল রোববার চতুর্থ দিনের মতো দেশটিতে কেউ করোনাভাইরাসে এ সংক্রমিত হননি।
নিউজিল্যান্ডে নতুন সংক্রমণ ছাড়াই করোনার রোগী আছেন ২৩ জন। তাঁদের সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে ১ হাজার ২১৯ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। মৃত্যু ২২ জনের। করোনার সংক্রমণের দিক দিয়ে অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ড ভালো অবস্থায় রয়েছে।
মহামারি সফলভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখায় আন্তর্জাতিক মহলে নিউজিল্যান্ড প্রশংসিত হয়েছে। দেশটির সরকার প্রায় সব ধরনের লকডাউন তুলে নিয়েছে। মার্চ মাসে প্রথম লকডাউন জারি করা হয় দেশটিতে।
শুরুতেই লকডাউন, সীমান্তে কড়া বিধিনিষেধ, কার্যকর স্বাস্থ্যবিধি ও পরীক্ষার কারণে নিউজিল্যান্ড সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে।
তবে কর্মকর্তারা সতর্কতা জারি করে বলেছেন, দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে। গতকাল স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক আসলে ব্লুমফিল্ড বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ১০০ দিন ধরে কোনো সংক্রমণ না থাকা সাফল্যের মাইলস্টোন। সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি বিভিন্ন দেশে কীভাবে এই ভাইরাস আবার সংক্রমিত হয়েছে। তাই আবার সংক্রমণ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ না থাকা মানে ঝুঁকি কমে যাওয়া না। এতে আবার করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়নি। তিনি বলেন, ১০০ দিনের সফলতা মাইলস্টোন বলা যায়। আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’
অন্যান্য দেশগুলোয় করোনার সংক্রমণ রোধে সাফল্য আসার পর লকডাউন শিথিল করা হয়। এরপর আবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ভিয়েতনামে জুলাই পর্যন্ত ৯৯ দিনে স্থানীয় পর্যায়ে করোনার কোনো সংক্রমণ ছিল না। তবে জুলাই মাসের শেষ দিকে দেশটিতে আবার করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি রাজ্যেও করোনার সংক্রমণ আবার ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলছে, গত মাসে তাইওয়ানও করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে।