জার্মানির অস্ত্র দিয়ে মেক্সিকোয় ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ ইয়েমেন যুদ্ধেও দেখা গেছে জার্মানির তৈরি অস্ত্র৷ ৩০ বছর ধরে নিয়ম ভেঙে অস্ত্র রপ্তানি করছে জার্মানি৷ এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে এক জার্মান গবেষণা সংস্থা৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অস্ত্র রপ্তানি বিষয়ক বিধিমালায় বলা আছে, এ অঞ্চলের কোনো দেশ অস্ত্র রপ্তানি করলে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং যে দেশে রপ্তানি করা হবে সে দেশ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলে কিনা তা বিবেচনায় রাখতে হবে৷
কিন্তু পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফ্রাঙ্কফুর্ট (পিআরআইএফ) ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে দেখেছে, এই তিন দশক ধরে অস্ত্র রপ্তানির নিয়ম লঙ্ঘন করে আসছে জার্মানি৷
জার্মানির এই গবেষণা সংস্থা মনে করে, এভাবে অস্ত্র রপ্তানি করার মাধ্যমে যুদ্ধ এবং সংকটগ্রস্ত বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় এমন দেশগুলোকে সহায়তা এবং এক রকমের অনুমোদনও দেয়া হচ্ছে৷
উদাহরণ হিসেবে ২০১৪ সালে মেক্সিকোর ছাত্র-বিক্ষোভের কথা উল্রেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তখন ছাত্রদের ওপর হিংস্রভাবে হামলা চালিয়েছিল পুলিশ এবং জার্মানির জি-৩৬ অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যাও করা হয়েছিল বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের৷ এছাড়া চলমান ইয়েমেন যুদ্ধে জার্মানির তৈরি অস্ত্র ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে বলেও প্রতিবেদনে পিআরআইএফ-এর গবেষকরা জানিয়েছেন৷
এ অবস্থার অবসান চান অনেকে
বার্তা সংস্থা এএফপিকে গ্রিনপিস ডিসআর্মামেন্ট বিশেষজ্ঞ আলেক্সান্দার লুর্ৎস বলেছেন, \’জার্মানির অস্ত্রগুলো একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই যুদ্ধাঞ্চলে এবং স্বৈরশাকদের কাছে যাচ্ছে৷\’ এ অবস্থার অবসানের জন্য অস্ত্র রপ্তানি আইন কঠোর করার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷
পিআরআইফ-এর প্রতিবেদন জার্মানির অনেক রাজনীতিদকেই ক্ষুব্ধ করেছে৷ বাম দলের বিদেশনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জেফিম ডাগডেলেন অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, \’পুরো ব্যবস্থাটাই অসুস্থ৷ ক্ষমতায় কেমন দল বা জোট রয়েছে তাতে কিছু আসে যায় না৷\’
: ডয়েচে ভেলে