মহামারী করোনা লকডাউনের সময় ভিসা নীতিমালা লঙ্ঘন করে ভারতে অবস্থান করায় বাংলাদেশিসহ ৩৫০০ বিদেশি তাবলিগ জামাত সদস্যকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। আগামী ১০ বছর কালো তালিকাভূক্ত এসব তাবলিগ সদস্যদের ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্ত দেশটির সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কিসের ভিত্তিতে তাবলিগের ৩৫০০ সদস্যকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে সেটার ব্যাখ্যা চেয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, তাবলিগ সদস্যদের উপর নিষেধাজ্ঞার আগে নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয়েছে, নাকি স্রেফ নির্দেশিকা দিয়েই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্র?
কালো তালিকাভুক্তদের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৩৫টি দেশের বাসিন্দারা আছেন। আগামী ১০ বছর এদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি নেই। গত ২ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ে ৯৬০ জন তাবলিগ জামাত সদস্যকে ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে গত ৪ জুন আরো ২৫০০ বিদেশিকে কালো তালিকাভুক্ত করে ভারত সরকার। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন থাইল্যান্ডের এক অন্ত্বসত্বা মহিলা। তার দাবি ছিল, কেন্দ্র তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আগে নির্দিষ্ট নিয়ম মানেনি। তাদের যুক্তি বা আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সেই মামলার ভিত্তিতে সোমবার বিচারপতি এএম খান উইলকর কেন্দ্রকে একপ্রকার তিরস্কার করেন। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে তিনি বলেন,\’যেটা জারি করা হয়েছিল সেটা সামান্য একটা সংবাদ বিবৃতি। এখানে কোথাও বলা নেই যে, সব মামলা খতিয়ে দেখে, নোটিস পাঠিয়ে, নির্দেশিকা পাশ করিয়ে তবেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে নোটিস পাঠিয়ে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান কী, তা আমাদের জানান। ওদের উপর নিষেধাজ্ঞার আগে কি নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয়েছে? নাকি স্রেফ নির্দেশিকা দিয়েই ওদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে?\’ আগামী ২ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এ বিষয়ে কেন্দ্রকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
:সংবাদ প্রতিদিন