মহামারী করোনাভাইরাস আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, ব্রাজিলের মতো দেশ। ভাইরাসটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে একযোগে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। ফলে গোটা বিশ্বই কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছে এই ভাইরাসের কাছে।
এমন সময় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আরও সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির মতে, করোনার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সামনে আসছে। এ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সব দেশকে রাজনৈতিক বিভাজন দূর করে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত ১৪টি দেশের পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলের একটি হাসপাতাল। কোভিড পরিস্থিতিতে সাও পাওলোতে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা এ হাসপাতালের শেষ রোগীকে বিদায় জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমন না যে ব্রাজিলে সংক্রমণের হার একেবারে কমে গেছে।
তবে এ হাসপাতালে আর কোনও রোগী না থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এটি। সাও পাওলোতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমায় শহরটিতে খুলে দেয়া হচ্ছে গির্জা। রিও ডি জেনিরোতেও খুলে দেয়া হয়েছে দোকান, সেলুন ও বিউটি পার্লার। তবে ব্রাজিলে এখনও প্রতিদিন ২৯ থেকে ৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
ব্রাজিলের এ অবস্থার কারণেই ইইউ নিরাপদ দেশগুলোর তালিকা থেকে দেশটিকে বাদ দিয়েছে। সঙ্গে আছে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র । ১ জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপানসহ আপাতত নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত ১৪টি দেশের নাগরিক ইউরোপ ভ্রমণে যেতে পারবে।
এর আগে করোনা মহামারীতে বন্ধ হয়ে যাওয়া সীমান্ত জুলাই থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রথমে ৫৪ দেশের কথা বলা হলেও পরে সোমবার চূড়ান্ত তালিকায় ১৪ দেশ রাখা হয়।
তবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিটের ট্রান্সিশন সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাজ্যবাসী ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। যুক্তরাজ্যে সংক্রমণের হার কিছুটা কমায় ৪ জুলাই থেকে রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, সেলুন, জাদুঘর এবং শিশুদের খেলার পার্ক খুলে দেওয়া হবে।
চীনে করোনায় নতুন করে প্রতিদিনই আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। চীন প্রথম ডব্লিউএইচও’কে ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করার পর মাত্র ৬ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি এবং মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
এ অবস্থায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’ প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস সতর্ক করে বলেন, করোনার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সামনে অপেক্ষা করছে।
ওই ১৪ দেশের তালিকায় রয়েছে:
১. আলজেরিয়া
২. অস্ট্রেলিয়া
৩. কানাডা
৪. জর্জিয়া
৫. জাপান
৬. মন্টেনিগ্রো
৭. মরক্কো
৮. নিউজিল্যান্ড
৯. রুয়ান্ডা
১০. সার্বিয়া
১১. দক্ষিণ কোরিয়া
১২. থাইল্যান্ড
১৩. তিউনিসিয়া
১৪. উরুগুয়ে
: বিবিসি ও ইউরো নিউজ