প্রাণঘাতী করোনার এই মহামারীর সময়ে মিয়ানমারে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের জানিয়েছে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ও আক্রান্ত করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তকে ছাড়িয়ে গেছে। খবর মিয়ানমার টাইমসের।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে গত ১২ সপ্তাহে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। আর বছরের প্রথম পাঁচ মাসে এতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৮০ জন। অন্যদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৬ জনের; আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৭ জনে।
স্বাস্থ্য বিভাগের ডেঙ্গু সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি ভারতের নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও অরুণাচল ঘেঁষা সাগাইং প্রদেশে। মে মাসেই সেখানে ৩০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মান্দালে, ইয়াঙ্গুন, মাগুই ও মোন প্রদেশেও ডেঙ্গুর উল্লেখযোগ্য প্রাদুর্ভাব রয়েছে। চলতি বর্ষায় ডেঙ্গু আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ থান নাইং সো বলেন, “পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা ও কিছুটা পরিবর্তনের মাধ্যমে মশাগুলোকে ডিমপাড়ার সুযোগ না দেওয়াই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ রোখার অন্যতম উপায়।”
সেই সঙ্গে বর্জ্য আবর্জনা ভালোভাবে পরিষ্কার করা ও পানির ধরে রাখার কন্টেইনারগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে জনসাধারণের প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
উ থান নাইং সো বলেন, “কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমরা জনসাধারণের কাছ থেকে ভালো অংশগ্রহণ পেয়েছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও আমি জনসাধারণ, বিশেষজ্ঞ ও সরকারি সংগঠনগুলোর সমন্বিত অংশগ্রহণ আশা করছি। এ ক্ষেত্রে সবার অংশগ্রহণটা গুরুত্বপূর্ণ।”
মিয়ানমারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সেই ১৯৬৫ সাল থেকে প্রতিবছরই দেখা যায়। প্রতি বছরই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়, আক্রান্ত হয় ২৫ হাজারের বেশি মানুষ।