লাদাখে গত দু\’মাস ধরে উত্তেজনার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে ভারত-চীন সীমান্তের পরিস্থিতি। ১৫ জুন চীনা সেনাদের হাতে ভারতের ২০ জন সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনায় সে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যে ভারত সীমান্তের দিকে শত শত ট্রাক, বুলডোজার ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে যুদ্ধ সাজে এগিয়ে আসছে চীনা বাহিনী।
৯ জুন গালওয়ান উপত্যকার উপগ্রহের ছবি থেকে ১৬ জুনের ছবি অনেকটাই আলাদা। উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, সীমান্তের কাছে চীনের বড় সড় সামরিক প্রস্তুতি চলছে। এলএসি বরাবর চীনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ১২৭টি গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এলাকাটি এলএসি থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ভারত সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে পুরোদস্তুর বিমান ঘাঁটিও গড়ে তুলেছে চীন। লাদাখের প্যাঙগঙ লেকের ২০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের ‘গাড়ি কুনসা’য় ১০ বছর আগে বিমানবন্দর নির্মাণ করে চীন।
বেইজিং তখন জানিয়েছিল অসামরিক বিমান পরিবহনের জন্য বিমানবন্দরটি তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, এক মাসে এ বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের অনেক বেড়ে গেছে। সেখানে রীতিমতো বিমান ঘাঁটি বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে প্রায় ৪ হাজার ৩৮৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সীমানা রয়েছে চীনের। এর আগে বহুবার সীমান্ত নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে ভারত ও চীন।
ভারতও সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে। লাদাখে যুদ্ধবিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে ভারত। যুদ্ধনীতির ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন এনেছে ভারত।চীন সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে কমান্ডারদের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।
এ মাধ্যমে চীন সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে আর কোনো বিধিনিষেধ রইল না।
: এনডিটিভি