লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে সরকার। সীমান্তের কাছে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বিমান বাইিনী। তারই মধ্যে গ্রাউন্ড জিরোতে দ্বিতীয় ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের কথা রয়েছে আজ।
বিমান সেনা, নৌ সেনা এবং স্থলবাহিনীকে সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন মোদী সরকার। ভারত এবং চীনের প্রতিটি সীমান্তেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে আরও বেশি সেনা নিয়োগ করা হয়েছে। সকলকেই অতি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অন্য দিকে ভারতের নৌসেনা প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে টহল বাড়িয়েছে। তারাও যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
সোমবার রাতে লাদাখের ঘটনার পরে ভারত বা চীন কোনও দেশই সরাসরি যুদ্ধের কথা বলেনি। কিন্তু দুই দেশের বিবৃতিতেই উত্তেজনা পারদ যথেষ্ট চড়া। তারই মধ্যে বুধবার লাদাখে ভারত এবং চীন সেনার ফ্ল্যাগ বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ফের মেজর জেনারেল স্তরের বৈঠক হওয়ার কথা পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ তে। সেখানেই সোমবার রাতে প্রায় আট ঘণ্টা ধরে ভারত এবং চীনের সৈন্য সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। যার জেরে ভারতের অন্তত ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। চীনেরও বেশ কয়েক জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও সরকারি ভাবে চীন এখনও কিছু জানায়নি।
সামরিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, এতজন সেনার প্রাণহানি হওয়ার পরে এই মুহূর্তে সীমান্তে উত্তেজনা কমা কঠিন।দুই পক্ষের সেনাই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে। তবে আলোচনার রাস্তা খোলা থাকবে।