লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষে ভারতীর সেনার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতের আরও ১১০ জন সেনা গুরুতর আহত।
ভারতীয় সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ডয়চে ভেলে। এছাড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় আট ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলে।
ভারতীয় এক আহত সেনা বলেন, মাঝ রাতে পেট্রোলিংয়ের সময় বিহার রেজিমেন্ট দেখতে পায় গালওয়ান নদীর পশ্চিম প্রান্তে লাইন অফ কন্ট্রোল পার করে পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ তে টেন্ট তৈরি করেছে চীনের পিপলস আর্মি।
ভারতের দাবি, ওই এলাকাটি ভারতের। ফলে পেট্রোলপার্টি দ্রুত সেখানে পৌঁছায় এবং বচসা শুরু হয়। আহত সেনাদের বক্তব্য, সামান্য হাতাহাতি শুরু হতেই চীনের সেনা রডে কাঁটাতার জড়িয়ে আক্রমণ করে। পাল্টা আঘাত করে ভারতীয় সেনাও। ওই উচ্চতায় এত রাতে ঠান্ডার সঙ্গে কঠিন লড়াই। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে। সঙ্গে অক্সিজেনের সমস্যা। তার মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চরমে পৌঁছায়। আহত সেনারা নদীতে পড়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে বহু সেনার মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া ডয়চে ভেলেকে ভারতীয় সেনা সূত্র জানিয়েছে, বুধবার সকালে নিহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১১০ জন গুরুতর আহত। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে চীনের সেনা বাহিনীর তরফ থেকে অবশ্য এখনও কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। সরকারি ভাবে ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানানো হয়নি।
তবে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দেশেও বেশ কিছু সেনার মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের দাবি ভারতের সেনা চীনের রেডিও ইন্টারসেপ্ট করে জানতে পেরেছে অন্তত ৪৩ জন চীনের সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র লাদাখে ভারত এবং চীনের সংঘাত যে আবার তীব্র হবে, বিশেষজ্ঞদের অনেকেই তা মনে করছেন।