নিউইয়র্কে স্টেটে কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট, স্টেট সিনেট, এ্যাসেম্বলি, কমিটিম্যান, কাউন্টি লিডারসহ বিভিন্ন পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচন (প্রাইমারি) ২৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বেশ ক’জন বাংলাদেশিও মাঠে রয়েছেন। করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে এ নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্টেট গভর্নর। কিন্তু পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টরা আদালতে যাবার হুমকি দিলে ভোট গ্রহণের তারিখ অটুট রাখা হয়েছে।
নিউইয়র্ক স্টেট এ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট-৩৪ এ লড়ছেন জয় চৌধুরী। প্রথম প্রজন্মের তরুণ অভিবাসী হিসেবে নিজের অবস্থান মোটামুটি দৃঢ় করেছেন ভিন্ন ভাষা-বর্ণের মানুষের মধ্যেও-এটিই তার সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছে। জ্যাকসন হাইটস, উডসাইড, ইস্ট এলমহার্স্ট ও করোনা এলাকা নিয়ে গঠিত এই ডিস্ট্রিক্টে ভোটারের সিংহভাগ হলেন হিসপ্যানিক, নেপালি, চীনা। খুবই কমসংখ্যায় রয়েছেন বাংলাদেশি এবং ভারতীয়। দীর্ঘদিন নানাভাবে সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপের সন্তান জয় চৌধুরীর তৎপরতা ইতিমধ্যেই সকলের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে।
অপরদিকে স্টেট এ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এর কমিটিওম্যান পদে মাঠে নেমেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জামিলা আকতার উদ্দিন। তার নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশি, ভারতীয়, জ্যামাইকান, চায়নিজ এবং শ্বেতাঙ্গের আধিক্য রয়েছে। ব্রঙ্কসে জন্মগ্রহণকারি শ্রমিক ইউনিয়ন লিডার মাফ মিসবাহ উদ্দিন এবং কমিউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট মাজেদা এ উদ্দিন দম্পতির কন্যা জামিলা পার্কচেস্টারে ১০৬ পাবলিক স্কুল হয়ে সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের জন জে কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন।
আরবান প্ল্যানিং নিয়ে এমবিএ করেছেন ব্রুকলীন কলেজ থেকে। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পরই ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামার ইয়ুথ কো-অর্ডিনেটর, ২০১৩ সালে সিটি মেয়র নির্বাচনে জন ল্যু’র সাউথ এশিয়ান ডিরেক্টর, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারী ক্লিনটনের ফিল্ড ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন জামিলা। বর্তমানে তিনি কুইন্স এ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৫ এর এ্যাসেম্বলিম্যান জেফ অব্রের ক্যাম্পেইন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৯ সালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নিউইয়র্ক সিটির ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালনকালে সকল ভাষা-বর্ণ-গোত্রের মানুষের সাথে চমৎকার একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞ জামিলার। তাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে কুইন্স কাউন্টি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। দু’বছর মেয়াদী এ পদে জয়ী হতে পারলে জামিলাকে এই স্টেটের দলীয় প্রার্থীগণের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যয়-ভার মনিটরিং করতে হবে। একইসাথে দলের সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক সুসংহত করার পাশাপাশি ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির মেম্বার বাছাই করতে হবে। এছাড়া, দলের পক্ষ থেকে যোগ্য প্রার্থীগণকে সমর্থনদানের কাজটিও করতে হবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে।
প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার প্রার্থী হিসেবে জামিলাকে ইতিমধ্যেই ‘এলায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান-আমেরিকান লেবার’ তথা আসালের পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে চলমান ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের একজন সক্রিয় সংগঠক হিসেবে জামিলার পরিচিতি আরও বেড়েছে। এজন্যে তার নির্বাচনী এলাকার অপর পদসমূহে সম্ভাবনাময় প্রার্থীর সকলেই জোট বেঁধেছেন ভোট প্রার্থনার প্রচারণায়।