ভারতীয় হাই কমিশনের দুই কর্মকর্তা পাকিস্তানে নিখোঁজ হয়েছেন। সর্বশেষ কয়েক ঘণ্টায় তাদের সঙ্গে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা থেকে ওই দুই ভারতীয় কর্মকর্তা নিখোঁজ। তাদের বিষয়ে ইতিমধ্যে পাকিস্তান সরকারের কাছে অভিযোগ করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় সংবাদমধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, নিখোঁজ দুই কর্মকর্তা হলেন, ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মী সিআইএসএফ চালক এবং তারা নিখোঁজের সময় ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি।
এ বিষয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞা এ কে সিং পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই ঘটনা প্রথমবার নয়, এর আগেও ঘটেছে। তিনি পাকিস্তান একটি ‘দুর্বৃত্ত দেশ’ বলে মন্তব্য করেন।
এর আগে গত ৩১ মে নয়া দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তান হাই কমিশনের দুই ভিসা সহকারীকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। তবে ওই দুই কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় ভারত।
সোমবার দুই ভারতীয় কর্মকর্তা নিখোঁজ হওয়ার একদিন আগে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর সংলঘ্ন এলাকা গিলগিত-বালতিস্তান থেকে দুই ভারতীয় গুপ্তচরকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। শুক্রবার (১২ জুন) লাইন অব কন্ট্রোল সীমানা অতিক্রম করে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন-এর খবরে বলা হয়, অভিযুক্ত দুজনকে সীমান্তরক্ষীরা গ্রেফতারের পর গিলগিট-বালতিস্তানের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ভারতীয় মুদ্রা, ভারতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে।
তাদের গ্রেফতারের বিষটি গিলগিটের পুলিশ কর্মকর্তা রাজা মির্জা হাসান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, তাদের দুইজনকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য পাকিস্তানে পাঠিয়েছে। তারা সীমানা অতিক্রম করার পরপরই গ্রেফতার হন।
এর আগে গত মাসে কাশ্মীরে এক পাকিস্তানি নাগরিকের পায়রাকে গুপ্তচর পায়রা সন্দেহে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। পুলিশ সেটিকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
ভারতের কাঠুয়া সীমান্তে চর সন্দেহে আটক পায়রাটিকে পরে মুক্তি দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। কুঠুয়ার যে এলাকা থেকে পায়রাটিকে আটক করা হয়েছিল সেখানেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে মুক্তি পাওয়ার পর পায়রাটি তার মালিকের কাছে ফিরেছে কিনা তা জানা যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনটিভির খবরে বলা হয়, ২৮ মে পায়রাটিকে মুক্তি দেয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, সীমান্তের যে অংশ থেকে সেই পায়রাকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেই এলাকায় ছেড়ে আসা হয়।