মাত্র তিন মাসে করোনামুক্ত নিউজিল্যান্ড, কঠিন লকডাউনই সাফল্যের চাবিকাঠি

গোটা বিশ্বেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউন চালু করলেও সংক্রমণ ঠেকাতে নাভিশ্বাস উঠছে আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো শক্তিশালী দেশগুলোর।

লকডাউনের মধ্যেও ব্রাজিল, দক্ষিণ আমেরিকা, ভারতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েও অসাধ্য সাধন করে দেখিয়ে দিল উইলিয়ামসনদের দেশ। আর এর পিছনে রয়েছে ওশিয়ানিয়ার ছোট্ট দেশের কঠিন মানসিকতা।

মাত্র তিন মাসের মধ্যে করোনামুক্ত দেশ হিসেবে প্রথম তালিকায় নাম লেখাল নিউজিল্যান্ড। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে কঠিন লকডাউন। সরকারের কঠিন নির্দেশকে মান্য করে ওই দেশ এখন সম্পূর্ণ করোনামুক্ত। শেষ যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তিনিও সুস্থ হয়ে রবিবার বাড়ি ফিরে গেছেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। গত ১৫ মে পর্যন্ত শেষবার নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেয়েছিল। পঞ্চাশ লাখ জনসংখ্যার এই দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫৪জন। মারা গেছেন ২২জন।

গত ১৭ দিন নতুন করে কোনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার মধ্যরাত থেকেই দেশ থেকে লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। সীমান্তে কড়া বিধি নিষেধ থাকলেও অভ্যন্তরীণে কোনও নিষেধাজ্ঞা আপাতত থাকছে না।

কড়া বিধি-নিষেই যে করোনামুক্তের প্রধান কারণ, তা এক কথায় সকলেই বিশ্বাস করেছেন। সরকারি তত্‍পরতায় দেশে করোনার প্রভাব ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারেনি। টানা তিন মাস কঠোর লকডাউন আর প্রচুর পরিমাণে করোনা টেস্টের কারণে হাতে নাতে সুফল পেয়েছে এই ছোট্ট দেশ।

উল্লেখ্য, প্রথম করোনায় আক্রান্তের হদিশ মিলতেই সাত সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়। বাড়ি থেকে কাউকে বের হতে নিষেধ করে দেয়া হয়। জরুরি পরিষেবা চালু হয় গোটা দেশে। ফলে সংক্রমণের সংখ্যা একধাপে অনেকটাই কমে যায় তখন। দেশ করোনামুক্ত শুনেই আনন্দে শিশুকন্যা নেভের সঙ্গে একটু নেচে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা। একটি সংবাদমাধ্যেমর সাক্ষাত্‍কারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

Scroll to Top