গত ২৫ দিন ধরে লাদাখ সীমান্তে মুখোমুখি ভারত ও চীন সেনা। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যেই দুই দেশের সেনাদের হাতাহাতির ভিডিও ছেয়ে গিয়েছে। উঠেছে ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ রব। এমতাবস্থায় সীমান্তে নিজেদের ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ করা শুরু করে দিয়েছে দুই দেশই। ফলে পরিস্থিতি যে আরও খারাপ দিকে যাচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সীমান্তে সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লেও দুই দেশের সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসার ও কূটনৈতিক আধিকারিকরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আলোচনা চালাচ্ছেন। চীনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক আছে। যদিও এর পরেও সীমান্তে নিজেদের ঘাঁটিতে আর্টিলারি, ইনফ্রান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেল ও আরও অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করে ফেলেছে। পাল্টা ভারতের তরফ থেকেও একাধিক ভারী যুদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বায়ুসেনার তরফ থেকেও সীমান্তে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
ভারত এবং চীনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা প্রসঙ্গে সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, সরকার ভারতের অহঙ্কারকে কোনও অবস্থাতেই আহত হতে দেবে না। যদিও সমস্যার সমাধান সূত্র খোঁজার জন্য সামরিক ও কূটনৈতিক দুই ক্ষেত্রেই দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
পূর্ব লাদাখের সীমান্ত উত্তেজনা মেটানোর প্রচেষ্টা চলছে জানিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, ‘আমি দেশেকে নিশ্চিত করতে চাই, আমরা ভারতের অহংকারকে কোনও অবস্থাতেই আহত হতে দেব না। ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে এসেছে এবং এটা নতুন কিছু নয়। আমরা এটা দীর্ঘদিন ধরেই অনুসরণ করে আসছি। চীনের সঙ্গে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে, এরকম আগেও হয়েছিল।’