সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর আওতায় কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বরং এই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বর্ষপূর্তি হয় শনিবার। এ উপলক্ষে ভারতের হিন্দি টেলিভিশিন চ্যানেল ‘আজতক’কে একান্ত সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরেই ভারতের সংসদে পাশ হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। যদিও কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিআইএমসহ বিরোধী দলগুলোর দাবি ধর্মের ভিত্তিতে করা এই নতুন নাগরিকত্ব আইন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আইন প্রত্যাহারের দাবিও জানায় বিরোধীরা। এমনকি নতুন এই নাগরিকত্ব আইন এর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কর্নাটক, মেঘালয়, আসামসহ গোটা দেশে বিক্ষোভ, প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাতে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এরই মধ্যে গত মার্চ থেকে করোনার আবহে ভারতে শুরু হয় লকডাউন, যা এখনও চলছে। আর এরপর থেকেই এই প্রতিবাদের ঝাঁঝ অনেকটাই কমে যায়।
এমন এক পরিপ্রেক্ষিতেই অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘আমি বহু বার বলেছি, সংসদে দাঁড়িয়েও বলেছি যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত। সংখ্যালঘু ভাই-বোনসহ সমস্ত দেশবাসীকেই আমি পরিস্কার করে বলে দিতে চাই যে সংশেধিত নাগরিকত্ব আইন কারও নাগরিকত্বে আঘাত হানবে না।
নতুন আইনে নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার কোন শর্তই আরোপ করা নেই। বরং এতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যারা পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র থেকে (বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান) থেকে প্রতারিত হয়ে ভারতে এসেছেন তাদেরই নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই আইনে।’