এবার নিজেদের ম্যাপে ভারতের লেইপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের অংশ করে নিল নেপাল। ক্যাবিনেট এই ম্যাপ প্রকাশ করেছে। এমনিতেই পাকিস্তান, চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে সংঘাত সবসময়েই জারি থাকে ,তারই মধ্যে এবার নতুন করে কী নেপালের নাম যুক্ত হল। অরুণাচলপ্রদেশের ডোকলাম নিয়ে চীনের সঙ্গে দিল্লির সংঘাত আছে, অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে লাইন অব কন্ট্রোলের লড়াই আছে। সব মিলিয়ে এবার এই তালিকায় জুড়ে গেল নেপালও। নেপাল ক্যাবিনেটের স্বীকৃতি দেওয়া ম্যাপ নিয়ে দিল্লি সরগরম।
চলতি মাসের শুরু থেকেই নেপাল-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ খানিকটা অবনতি হয়েছে।এর কারণ হিসেবে লিপুলেখ থেকে ধারচুলা পর্যন্ত একটি নতুন রাস্তা তৈরি করছে ভারত। এর জেরে মানস সরোবারের যাত্রার সময়সীমা খানিকটা কমতে পারে। যেটা মোটেই ভালো চোখে নেয়নি নেপাল । নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি নেপালের নতুন ম্যাপ সামনে আনা হবে।
এদিকে নেপাল সরকার জানিয়েছেন নতুন এই ম্যাপ প্রকাশের পর প্রতিবেশী দেশদের সঙ্গেও এটা নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করা হবে। ভারত ও নেপাল দুই দেশই দাবি করে এই কালাপানি তাদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। নেপালের দাবি, এই এলাকা তাদের দেশের ধারচুলা জেলার মধ্যে পড়ে, অন্যদিকে ভারতের পাল্টা দাবি কালাপানি উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড় জেলার অন্তর্গত।
এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে নেপালের এই ম্যাপ পরিবর্তনকে চীনের ঘুরিয়ে চাপ হিসেবে দেখছে ভারতের কূটনৈতিক মহল। ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের পরাজয়ের পর থেকে চীন ও ভারতের সঙ্গে ভারসাম্যের রাজনীতি শুরু হয় নেপালের। নেপাল এমনিতেই \’ল্যান্ড-লক্ড স্টেট\’। তার একদিকে কিছুটা তিব্বত, অন্যদিকে সীমান্তের বেশিরভাগ অংশই ভারতের সঙ্গে।
: নিউজ এইটটিন