রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কর্তৃক বন্দীদের উপর নির্যাতন চালানোর বিসয়টি বরাবরই অস্বীকার করা হয়ে থাকে। সেনাবাহিনী কর্তৃক বন্দিদের চোখ বেঁধে নির্যাতন করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দায় স্বীকার করেছে মিয়ানমার। দেশটির সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে এটা বিরল ঘটনা।
রবিবার ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাঁচ জন বন্দিকে সেনা পোশাক পরা পুরুষরা হাতকড়া ও চোখ বাঁধা অবস্থায় মাথায় ঘুষি মারছে এবং লাথি মারছে। আজ বুধবার দেশটির সেনাবাহিনীর ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে আটক পাঁচ জনকে ২১ এপ্রিল রাখাইন রাজ্যে পাঠানো হয়। সেখানেই তাদেরকে মারধর করে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা কর্মীরা।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সাধারণত প্রমাণ হওয়ার পরও তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করে না। কিন্তু এবার এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেছে। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী আচরণ করা হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তারা জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তাকর্মীরা চোখ বাঁধা ও হাতকড়া পরানো ব্যক্তিদের মাথায় নির্মমভাবে আঘাত করছে। একজন মাথায় ঘুষি দিচ্ছে, আরেক জন লাথি মারছে। তবে আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। অন্যায়ভাবে তাদের আটক করাা হয়েছে।
আরাকান আর্মি বা এএ হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বিদ্রোহীদের একটি সংগঠন।
:আল জাজিরা