কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বাধীনতাকামী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদীনের প্রধান কমান্ডার রিয়াজ নাইকু আজ বুধবার ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন।
দুপুরের দিকে ভারতীয় সেনা, সিআরপি এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন তিনি।
এদিন কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় এনকাউন্টারে হিজবুল মুজাহিদীনের প্রধানসহ অন্তত দু\’জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ একাধিক কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ওই অপারেশন শুরু হয়েছে। যে বাড়িতে ওই শীর্ষ জঙ্গি নেতা লুকিয়ে রয়েছে, তাকে ঘিরে ফেলে এই মুহূর্তে গুলিবর্ষণ শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই জঙ্গি কমান্ডার জঙ্গি দল হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার। সে কাশ্মিরের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড\’ তালিকায় থাকা অন্যতম জঙ্গি।
সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই জঙ্গি নেতা ও তার সঙ্গীকে ইতিমধ্যে মধ্যে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে এই সংবাদকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে গুলির লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়, শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি কমান্ডারকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। অবন্তীপুর পুলিশের পক্ষ থেকে তৃতীয় অপারেশন শুরু করা হয়েছে।
২০১৮ সালে জঙ্গি হানা ও হামলার হুমকির কারণে বহু বিশেষ ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দেন। গত মাসে অন্তত ২২ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে কাশ্মির উপত্যকায়।
জানা গেছে, পাকিস্তানি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের ফলেই এই ধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে।