ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামাল দিতে ফেইস মাস্ক ব্যবহার নিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। বুধবার নাগরিকদের একতরফা মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দেয়ার হুমকি দিয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।
যদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার জোর দিয়ে বলছে, মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে যেসব প্রমাণ আসছে, তার ভিত্তি খুবই দুর্বল।
তবে ওয়েস্টমিনিস্টারের অবস্থান আরও বেশি খর্ব করে দিয়েছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা সার্জন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই কষ্টকর, সেখানে মুখঢাকা ব্যবহার করা উচিত।
সাদিক খান বলেন, রাজধানীতে যে কোনো নিবৃত্তিমূলক পদক্ষেপ আমি নিতে পারি। যদি আমাদের সর্বোচ্চ তদবির ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণের পরেও সরকারি নির্দেশনায় কোনো পরিবর্তন না আসে, তবে লন্ডনের বাসিন্দাদের ফেইস মাস্ক পরতে একতরফা নির্দেশ আমাকে দিতে হতে পারে।
ডাউনিং স্ট্রিট বলছে, গত সপ্তাহে সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সিসে কাছ থেকে তথ্যপ্রমাণ গ্রহণের পর ব্রিটিশ সরকার এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, যেসব পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, মন্ত্রীরা তা বিবেচনা করে দেখছেন। কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তা প্রকাশ্যে জানানো হবে।
ডাউনিং স্ট্রিটের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জবাব একেবারেই পরিষ্কার যে মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে যে প্রামণ পাওয়া গেছে, তা দুর্বল। আমরা প্রমাণাদি সরকারের কাছে পাঠিয়েছি, সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককও একই বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়নি।
মঙ্গলবার বৈজ্ঞানিক উপপ্রধান কর্মকর্তা অধ্যাপক অঞ্জেলা ম্যাকলিন বলেন, করোনাভাইরাস বিস্তারে মাস্ক একজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিরত রাখতে পারে বলে জোরালো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।