তিনি যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিছুতেই মানতে চাননি পুলিশ কর্মীরা। তাই অভিযোগও নেননি।
শেষে প্রমাণ দিতে এক ধর্ষকের কাটা কান নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে হাজির হন নির্যাতিতা। সম্ভ্রম বাঁচাতে গণধর্ষণের রাতেই যে কানটি তিনি কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছিলেন। এমন ‘প্রমাণ’ পেয়ে অবশেষে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। সোমবার রাতে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। নির্যাতিতার দাবি, ওই রাতে সন্তানের সঙ্গে ঘরের ভেতরে শুয়েছিলেন তিনি। তার স্বামী ছিলেন ঘরের বাইরে। রাতে স্থানীয় চার যুবক ঘরের ভিতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে স্বামী ঘরে এলে তাঁর উপরও চড়াও হয় অভিযুক্তরা। তখনই ধস্তাধস্তির সময় সম্ভ্রম বাঁচাতে এক দুষ্কৃতীর কান কামড়ে ছিঁড়ে নেন নির্যাতিতা।
সোমবার রাতের ওই ঘটনার পরদিনই আলিগড় থানায় যান সেই নারই ও তার স্বামী। কিন্তু তাদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। তিনি যে সত্যিই গণধর্ষণের শিকার, তা কিছুতেই মানতে চাইছিল না পুলিশ।
তিনি জানান, এই ভাবে তিন দিন কেটে যায়, হাজার কান্নাকাটিতেও কাজ হয়নি। অভিযুক্তেরা তাদের হুমকি দিচ্ছে বলার পরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এরপরেই কামড়ে ছিঁড়ে ফেলা কানের টুকরো নির্যাতিতা নিয়ে সোজা হাজির হন আলিগড়ের এসএসপি রাজেশ পাণ্ডের অফিসে।
কানের টুকরো দেখে তাজ্জব হয়ে যান তিনি। পুরোটা শোনার পর তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি। এতদিন সেই নারীর অভিযোগ কেন নেওয়া হচ্ছিল না তাও জানার চেষ্টা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ০৭ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল