পর পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের সন্দেহের অনুমানে নিজের স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এই নির্যাতন চালানোর পর উধাও হয়ে গেছে অভিযুক্ত পঙ্কজ শিকদার। ভারতের শান্তিপুরের বাঘআঁচড়ার এই ঘটনায় প্রতিবেশীরা বেজায় ক্ষুব্ধ।
বছর দশেক আগে রানাঘাটের হবিবপুরের ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পঙ্কজ শিকদারের। বিয়ের সময় পঙ্কজের বয়স ছিল ৪২ এবং তাঁর স্ত্রীর তখন ছিল ১৮। অভিযোগ বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে অশান্তি চলত। বিয়ের পর তাঁতের কাজ করলেও পরে পঙ্কজ বেঙ্গালুরুতে হোটেলের কাজে চলে যায়। মাঝেমধ্যে বাড়ি ফিরলেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি। ওই দম্পতির এক ছেলে ও মেয়ে আছে। সম্প্রতি পুজোর ছুটিতে শান্তিপুরে এসেছিল পঙ্কজ। সন্দেহের বাড়িতে নিজের বাড়িতে সে যায়নি। উঠেছিল বন্ধুদের বাড়িতে।
গত শুক্রবার বাড়ি ফিরলে স্ত্রীর সঙ্গে তার নতুন করে গণ্ডগোল শুরু হয়। অভিযোগ স্ত্রীকে জোর করে রাস্তা নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে মারধর করতে থাকে পঙ্কজ।
নির্যাতিতা স্ত্রীর বক্তব্য, তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে। প্রতিবেশীদের সামনে এই ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এলাকার লোকজন ঠেকাতে হলে তাদেরকে দু-চার কথা শুনিয়ে দেয় পঙ্কজ। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা। দেখে শুনে বিয়ে দেওয়ার পর মেয়ের এই দুর্দশা বৃদ্ধ আর মানতে পারছেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার পর থেকে স্ত্রীর উপর সন্দেহ বাড়তে থাকে পঙ্কজের। এলাকার কারও সঙ্গে স্ত্রীর মেলামেশা সে পছন্দ করত না। পারিবারিক অশান্তি যে এই জায়গায় পৌঁছাতে পারে তা ভাবতে পারেননি প্রতিবেশীরা। অভিযুক্তর শাস্তির দাবির সওয়াল করেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ০৭ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল