২০ লাখের উপরে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যু সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার এর কাছাকাছি। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। যেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছে গোটাবিশ্ব। সেখানে এ করোনা মোকাবিলায় সাফল্য দেখাচ্ছে পর্যটন নগরী মালয়েশিয়া।
আক্রান্তের সংখ্যা কমছে প্রতিদিন। মৃত্যুর হারও আগের মতো আর নেই। যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাদের অধিকাংশই ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন আগে থেকেই। ভাইরাসকে পরাজিত করে ইতিহাসে নাম লেখাতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ।
দেশটিতে আতঙ্কের বদলে ফিরতে শুরু করেছে স্বস্তি। যেখানে গড়ে ২০০\’র বেশি আক্রান্ত হতো প্রতিদিন সেখানে বর্তমানে আক্রান্ত\’র হার কমে গেছে অনেকটাই। আইসিইউতে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে সুস্থ হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত।
তবে চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ থেকে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। অনেকে লকডাউন নিয়ন্ত্রণ আদেশ অমান্য করছেন দেখে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেন, ‘আমরা দেখছি, লোকজন এমন আচরণ করছে যেন তারা আইনের তোয়াক্কাই কিংবা ভয় করছে না। তাদের ভয় পাওয়ার জন্য ১ হাজার রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ান) খুব বেশি মনে হচ্ছে না। তারা প্রতিনিয়ত চলাচলের নির্দেশনা (এমসিও) লঙ্ঘন করছেন।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, তাই এরকম পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, পুলিশ আগামীকাল থেকে তাদেরকে আর সতর্ক করবে না। যারা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ।
ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব আরও জানান, এরপর আদালত তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ, ৩৪২ নম্বর আইনের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আদালত তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিতে পারবে।
মালয়েশিয়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া লকডাউন আজ ১৪ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বন্ধ না হওয়ায় এর সময়সীমা আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করেছে দেশটির সরকার।
১৫ এপ্রিল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫, মারা গেছে ১ জন, আর সুস্থ হয়েছেন মোট ১৬৯ জন রোগী। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৭২, মোট মারা গেছে ৮৩ জন এবং এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৬৪৭ জন।