শুধুমাত্র একবার লকডাউনের মাধ্যমেই করোনার প্রকোপ ঠেকানো সম্ভব নয়। এমনকি অল্প কিছুদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। আরও কয়েক বছর হয়তো আমাদের এসব মেনে চলতে হবে। এমনকি সামাজিক দূরত্বও হয়তো আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত বজায় রাখা জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে ‘জার্নাল সায়েন্সে’ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়, যদি এর মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের অবসানও ঘটে, তারপরও যথাযথ মনিটরিং ব্যবস্থা থাকতে হবে, কেননা ২০২৪ সালের শেষদিকে এ ভাইরাসের ফের প্রাদুর্ভাবের আশংকা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এদিকে হার্ভার্ডের গবেষকদের এ পর্যবেক্ষণ হোয়াইট হাউসের পূর্বাভাসের একদম বিপরীত। হোয়াইট হাউস থেকে এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, এই গ্রীষ্মেই করোনা ভাইরাস মহামারী দূর হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো কবে নাগাদ মানুষ কোভিড ১৯ ভাইরাস প্রতিরোধী হয়ে উঠবে, সেটিই বলা মুশকিল।
গবেষকরা আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক দুরত্ব বা লকডাউন পরিস্থিতি যদি খুব শিগগির তুলে নেওয়া হয়, তবে এ ভাইরাস আবারও ফিরে আসতে পারে। যদিও সামাজিক দুরত্ব বা লকডাউন পরিস্থিতি যত দীর্ঘায়িত হবে, দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও শিক্ষার ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব তত বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ১৪ হাজারের বেশি আক্রান্ত এবং ২৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৪৮ হাজার মানুষ।