করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ইসলামের পবিত্র নগরী মক্কায় ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। আর এই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। পবিত্র নগরী মক্কায় জনাকীর্ণ বস্তি এবং শ্রম শিবিরগুলো করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়াকে ত্বরান্বিত করেছে। দেশটির বেশিরভাগ অংশ ২৪ ঘন্টা কারফিউয়ের অধীনে রয়েছে।
২ মিলিয়ন বা ২০ লাখ লোকের বসবাস মক্কায়। সোমবার পর্যন্ত সেখানে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০৫০ জন।এদিকে, রাজধানী রিয়াদে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪২২। রিয়াদ আয়তনে মক্কা শহরের চেয়ে তিনগুণ বড়।
মক্কায় প্রচুর সংখ্যক অননুমোদিত অভিবাসী এবং অভিবাসী কর্মীদের আবাসন রয়েছে। এ পরিস্থিতি করোনা সংক্রমণের হারকে কমিয়ে আনার বিষয়টি আরও কঠিন করে তুলেছে। যদিও করোনা ঠেকাতে দেশটির বেশিরভাগ অংশ ২৪ ঘণ্টা কারফিউয়ের অধীন।
মার্চের শেষের দিকে সৌদির অন্যতম বৃহত্তম নির্মাণকারী সংস্থা বিনলাদিন গ্রুপের পাঁচ শ্রমিকের করোনা পজেটিভ হয়। তারা মক্কায় কাজ করতেন। এরপরে কর্তৃপক্ষ ৮,০০০ আবাসস্থল বন্ধ করে দিয়েছে।পাশাপাশি ইসলামের পবিত্রতম স্থানটি সম্প্রসারণের কাজ স্থগিত করেছে।
এরপর কিছু কর্মীকে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। সংস্থাটিকে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হয়।তবে তারা কোনও জবাব দেয়নি। শ্রমিক শিবিরটি লকডাউনে থেকে গেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ইতালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই মক্কাকে মহামারি থেকে রক্ষা করা সৌদি আরবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহর।
সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৯৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৬৫।