ভারতে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) পরিস্থিতি ক্রমশ জটিলতর হচ্ছে। তারপর ধাপে ধাপে হু হু করে ভারতজুড়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রতিদিন আরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংখ্যাটা।
গত ১১ মার্চ ভারতের প্রথম যে মৃত্যু হয়েছিল সেখান থেকে আজ পর্যন্ত যদি মোট সংখ্যা হিসাব করা হয় তাহলে প্রতিদিনের হিসেবে গড়ে ভারতে মৃত্যু হচ্ছে ৮ জনের। ভারতে করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে সম্প্রতি এমনই এক তথ্য এসেছে প্রকাশ্যে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৭৬৮। মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বাড়ল ৩৬।
এরপর দেশটিতে ১১ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর হার ৩.২১ শতাংশ। পাঞ্জাবে মৃত্যুর হার ৮.৩৩ শতাংশ। মধ্যপ্রদেশে ৭.৫৯ শতাংশ আর দিল্লিতে এই হার ১.৪৪ শতাংশ। ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৮ হাজার ৩৯০ জন। মারা গেছেন ২৮৭ জন।
পাশাপাশি পরিসংখ্যান অনুযায়ী যে রাজ্যে করোনা টেস্টের সংখ্যা যত বেশি সেখানে মৃত্যুর হার তত কম। পাঞ্জাবে এখনো পর্যন্ত তিন হাজার ৪৬১ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর হার ৮.৩৩ শতাংশ।
অন্যদিকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দিল্লিতে ১১ হাজার ৬১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মারা গেছেন ১৪ জন। দিল্লিতে মৃত্যুর হার ১.৪৪ শতাংশ।করোনায় ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানে মৃত্যুহার ৭ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রে করোনা টেস্ট হয়েছে ৩০ হাজার জনের আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৩৪। এবং মৃত্যুর হার ৭ শতাংশ। যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম পজিটিভ ধরা পড়েছে ১ হাজার ৫৭৪। করোনায় দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৮ হাজার ৪১০ টেস্ট হয়েছে। করোনার জীবাণু মিলেছে ৯১১ জনের মধ্যে। মারা গেছেন ৮ জন।
উত্তরপ্রদেশে ৯ হাজার ৩৩২ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ১১ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত পজিটিভ হয়েছে ৪৩১। কেরালায় ১৩ হাজারের বেশি পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশেরও কম। এদিকে করোনাকে জয় করে সুস্থ হওয়ার নিরিখে সর্বাগ্রে রয়েছে ছত্রিশগড়। এখানে করোনা আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কেরালা ও হিমাচলপ্রদেশে এই হার যথাক্রমে এক তৃতীয়াংশ ও এক পঞ্চমাংশ। মধ্যপ্রদেশ, বিহার, অসম, ঝাড়খণ্ড ও ত্রিপুরায় এখনও একজনের সুস্থ হয়ে ওঠার খবরও মেলেনি।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় ভারতে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আগে শনিবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।