চীনের বাইরে যেসব দেশগুলো করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবার সেসব দেশেও করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করাতে চায় চীনা বিজ্ঞানীরা। চীন আশাবাদী, সামরিক বিজ্ঞানীদের তৈরি এ ভ্যাকসিন বৃহৎ পরিসরে পরীক্ষা করলে দ্রুত ভালো ফল পাওয়া যাবে।
ভ্যাকসিনগুলোর প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল এ মাসের শেষে ঘোষণা করা হবে বলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে।
চীনের শ্বাসযন্ত্রের রোগের স্টেট কি ল্যাবরেটরির ভাইরোলজিস্ট চেন লিং বলেন, আমাদের প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল টেস্ট শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের টেস্টে কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে পরীক্ষা চালাতে হবে। এজন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে এ পরীক্ষা চালালে দ্রুত এবং সঠিক ফলাফল তৈরি করতে সহায়তা করবে।
করোনাভাইরাসে প্রথম আক্রমণের শিকার হয় চীন। প্রায় আড়াই মাসের লড়াই শেষে ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। চীন এখন বিশ্বের কাছে ‘করোনা মোকাবেলায় মডেল’। করোনার উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশে গত তিন দিনে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি।
পর্যাপ্ত ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট, মাস্ক, ভেন্টিলেটর, সুরক্ষামূলক পোশাক এবং চিকিৎসকদের একাগ্র প্রচেষ্টায় পুরোপুরি সফল তারা।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে অনেক দেশের গবেষকরা আমাদের সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রিকম্বিন্যান্ট ভ্যাকসিনটি মূলত রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে দেহের মধ্যে রোগজীবাণুগুলোর জিনগত উপাদানকে প্রবর্তন করার জন্য ক্ষতি করে না এমন ভাইরাস বা জীবাণু ব্যবহার করে। মেডিকেল সরঞ্জামের পাশাপাশি করোনা বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়েও সহায়তার হাত প্রশস্ত করছে বেইজিং।