প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩৭ হাজারের। কোনও প্রতিষেধক না থাকায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করেছে। তবে তা এখনো স্বীকৃতি পায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
এরই মধ্যে করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি জনসন এন্ড জনসন। আগামী ২০২১ সালের প্রথমেই বাজারে আসবে করোনার ওষুধ। ফোবস ম্যাগাজিনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
জনসন এন্ড জনসনের প্রধান বিজ্ঞানী বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ১ বিলিয়ন ডলারের যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে ভ্যাকসিন গবেষণা ও উৎপাদনে ব্যয় হবে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ওষুধ তৈরির কাজ। আগামী বছরের প্রথমেই বাজারে ওষুধ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে বলছেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পল স্টোফেলস। তবে করোনার ভ্যাকসিন থেকে কোন ধরণের লাভ নিবে না জনসন এন্ড জনসন। ওষুধটি যেনো সবার সাধ্যের মধ্যে থাকে সে হিসেবেই এর উৎপাদন করা হচ্ছে। স্টোফেল জানান, জনসন এন্ড জনসন এই পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে মানুষের সাহায্য করার কথা ভেবেই কাজ করছে।