বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮৮০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গোটা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪০ জন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতালি ও স্পেনে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৯ দেশ ও অঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৭৪০ জন। মারা গেছেন ৩০ হাজার ৮৮০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এক লাখ ৪২ হাজার ১৮৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইতালিতে। দেশটিতে শনিবার পর্যন্ত ১০ হাজার ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত ৯২ হাজার ৪৭২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম দেশ যেখানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৭৭ জন। মারা গেছে ১ হাজার ৯০৩ জন।
মোট আক্রান্তের সংখ্যায় চীন ও ইতালিকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালিও। আর মৃত্যুর সংখ্যায় ইতালির পর স্পেনও চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৯৪। মারা গেছেন তিন হাজার ২৯৫ জন।
যুক্তরাজ্যে করোনায় গত একদিনে ২৬০ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে করোনায় সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে নেদারল্যান্ডসে কোভিড-১৯ রোগে ৬৩৯ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের। বেলজিয়ামে ৩৫৩ এবং সুইজারল্যান্ডে করোনায় ২৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শতাধিক মৃত্যু হয়েছে ইউরোপের আরও অনেক দেশে।
নিউইয়র্ক রাজ্যেই ২৬ হাজার ৬৯৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্কে ১৪৪, ওয়াশিংটনে ১৭৫ এবং লুইজিয়ানায় ১১৯ জন মারা গেছেন। নিউইয়র্ক পুলিশের ৫০০ সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগী ৪৮ জন। সরকারি হিসাবে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। তবে শনিবার পর্যন্ত নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেইপ্রদেশের রাজধানী উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।