যুক্তরাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, রাজধানী হাভানা ছাড়া কিউবার অন্যান্য সকল বিমানবন্দরে নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করার। শুক্রবার মার্কিন পরিবহন কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে কিউবার নয়টি বিমানবন্দরের জন্য এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন পরিবহন বিভাগ। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও পরিবহন বিভাগকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
কিউবার বিরুদ্ধে ভেনিজুয়েলাকে সমর্থন ও উস্কানি দেয়ার অভিযোগ এনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। কিউবা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে পাঁচ দশকের শীতল সম্পর্কের অবসান ও অবরোধ তুলে নিয়ে কিউবার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক এবং ব্যবসায়িক লেনদেন পুনরায় শুরু করা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামার ওই পদক্ষেপ থেকে পিছু হটছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের ফলে নগদ অর্থ সংকটে থাকা কিউবার অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, দেশটি অনেক বেশি পর্যটন আয়ের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র হাভানার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও বহাল রাখবে। তবে প্রমোদতরি এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
সরকারি তথ্যমতে, গত বছর প্রায় নয় লাখ পর্যটক প্রমোদতরিতে হাভানা ভ্রমণ করে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশই আমেরিকান। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভাড়া করা বিমানে মিয়ামি থেকে হাভনা ভ্রমণকারী কিউবান-আমেরিকানরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ২০১৬ সালে বারাক ওবামার শাসনকালে কিউবায় বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হয়।
:বাসস