পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানেন না কীভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনা ও বজায় রাখতে হয়। শুক্রবার এমন অভিযোগ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘে ইমরানের দেয়া ভাষণকে উসকানিমূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছে মন্ত্রণালয়।
এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করায় মালয়েশিয়ারও সমালোচনা করেছে এই মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা দেশটির মাথায় রাখা উচিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেছেন, ‘ইমরান খান জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উসকানিমূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়েছেন। আমার ধারণা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কীভাবে টিকিয়ে রাখতে হয়, তা তিনি জানেন না।
রবিশ বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো, তিনি সবার সামনে ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদের আহ্বান জানিয়েছেন। এটি স্বাভাবিক নয়।’ জাতিসংঘের সম্মেলনে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করা মালয়েশিয়া ও তুরস্কের উদ্দেশেও এই মুখপাত্র কড়া বার্তা পাঠিয়েছেন।
রবিশ কুমার বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর অন্য সব রাজতন্ত্রের মতো দেশের কেন্দ্রীয় রাজস্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। পাকিস্তান হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে জম্মু-কাশ্মীরের একাংশ দখল করেছে। মালয়েশিয়া সরকারের উচিত দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে এ জাতীয় মন্তব্য থেকে বিরত থাকা।
তুরস্কের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তুর্কি সরকারকে এই বিষয়ে আরও বক্তব্য দেওয়ার আগে সত্যিকারের পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখার আহ্বান জানাই। এটি ভারতের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে ইউএনজিএর সমাবেশে পাকিস্তান বারবার কাশ্মীরের বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করে। ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা হয়। জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
ইমরান খান বলেন, ভারত-পাকিস্তানের পারমাণবিক লড়াই শুরু হলে গোটা বিশ্বকে এর জন্য ভুগতে হবে। তাঁর এ বক্তব্য ব্যাপকভাবে নিন্দিত হয়েছে।
ইমরানের বক্তব্য সরাসরি নাকচ করে ভারত জানায়, সাধারণ পরিষদে পরিস্থিতি তুলে ধরার সুযোগের এমন অপব্যবহারের ঘটনা বিরল।