বাবার তৈরি আইনেই আটক ফারুক আবদুল্লাহ

নিজের বাবার তৈরি আইনেই ফেঁসে গেলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দিন থেকেই গৃহবন্দি রয়েছেন ফারুক আবদুল্লাহ। ১৯৭০ সালে জননিরাপত্তা আইন পাশ করিয়েছিলেন প্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা তাঁরই বাবা শেখ আবদুল্লাহ। প্রায় চার দশক আগের এই আইন অনুসারে, কোনও বিচার ছাড়াই এই আইনে যে কাউকে দুবছর পর্যন্ত আটক করে রাখা যায়।

রাজ্যের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি পুরো রাজ্যে কঠোর নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে সরকার। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের শতাধিক রাজনৈতিক নেতাকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি।

সরকারি বিশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জন নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে শ্রীনগরের সাংসদ ফারুক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে। এর ফলে বিচার ছাড়াই তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত আটক থাকবেন তিনি। শ্রীনগরে তাঁর বাড়িটি “জেল” হিসেবে ঘোষিত হবে। আইন অনুযায়ী, ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনও ব্যক্তিকে আটক করতে পারে সরকার এবং দুবছর পর্যন্ত তার কোনও বিচার নাও হতে পারে। ২০১১ সালে এই বয়সসীমা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করা হয়।

কয়েক দশক ধরে জঙ্গি, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ইট-পাটকেল ছোঁড়ার অপরাধে যুক্তদের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করা হয়ে আসছিলো। ২০১৬ সালে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর, কাশ্মীর উপত্যকায় যে প্রতিবাদ হয়, তারপর থেকে ৫৫০ জনেরও বেশী লোককে জননিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়।

গতমাসে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেক প্রথমবার এই আইনে আটক হলেন একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও মূলধারার একজন রাজনৈতিক নেতা। এই আইনে আটক করার নির্দেশ দিতে পারেন, জেলা শাসক অথবা ডিভিশনাল কমিশনার।ইত্তেফাক

Scroll to Top