একজন সৌদি নারী টপস, জিন্স, টি-শার্ট পরে রাস্তায় বা শপিং মলে ঘোরাফেরা করছেন এটা সৌদি আরবে কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু, এক সৌদি নারী এমন পোশাক পরে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এক সময়, সৌদি আরবে যা কল্পনাও করা যেতো না তাই করে দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। পরনে নেই মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখা কালো বোরকা, মাথায় নেই আবায়াও। তার বদলে সাদা টপসের ওপর কমলা জ্যাকেট, সাদা ট্রাউজার আর হাই হিলে রিয়াদের একটি শপিং মলে এমনই পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক পড়ে চুল উড়িয়ে চলতে দেখা যায় মাশায়েল আল-জালৌদকে। সৌদি নারীর এমন পোশাকা পরিহিতা ছবি সারা বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
৩৩ বছর বয়সী মাশায়েল রিয়াদে একটি সংস্থার মানব সম্পদ বিভাগে কাজ করেন। সেই সঙ্গে নিজের মতো করে চালিয়ে যাচ্ছেন মানবাধিকার রক্ষার লড়াই। রাস্তায় এভাবে তাকে হাঁটতে দেখে পথচারীরা ভেবেছিলেন, তিনি কোনো তারকা হবেন।
মাশায়েল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রোকে বলেছেন, তিনি স্বাধীনভাবে বাঁচতে চান। তাই এখন বোরকা পরা ছেড়ে দিয়েছেন। এ জন্য তাকে অনেকে বাঁকা চোখে দেখছেন। ফলে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হাতে আক্রমণের শিকার হতে পারেন বলেও জানান মাশায়েল।
তিনি আরো জানান, জুলাইয়ে একবার বোরকা ছাড়া রিয়াদের বকেটি শপিং মলে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় তাকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এর আগে মানাহেল আল-ওতাইবি নামে আরেক সৌদি নারী বোরকা ছাড়াই প্রকাশ্যে রাস্তায় চলাচল করেন। গত চার মাস ধরে তিনি রিয়াদে বোরকা ছাড়া চলাফেরা করছেন বলে জানান।
মানাহেল বলেন, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চাই। আমি যা পরতে চাই না, সেটা আমাকে কেউ পরাতে পারবে না।
রক্ষণশীল সৌদি আরবের রাস্তায় বের হতে হলে মেয়েদের আবায়া বা বোরখা পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই নিয়ম ওই নারীরা না মানায় তাদের ‘বিদ্রোহী’ সৌদি নারী হিসেবে উল্লেখ করছে পাশ্চাত্যের গণমাধ্যম।
এদিকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি নারীদের পোশাকের বিধি-বিধান শিথিল করার কথা বলেছিলেন।