কাশ্মীর নিয়ে ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানকে সম্পূর্ণ সমর্থন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ অধিদফতর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আহমেদ আল যুবায়ের এবং সংযুক্তর আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন যায়েদ আল নাইয়ান কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানকে সম্পূর্ণ সমর্থন দেয়ার আশ্বাস দেন। খবর ডনের।
রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে মন্ত্রীদের বৈঠকের সময় এ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় ও ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কাশ্মীরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন। জেনারেল বাজওয়া বলেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বিশেষ কৌশলগত ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে গর্বিত।
এর আগে বুধবার দুই মন্ত্রী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী দফতরের দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতি ও উপত্যকাটির সবশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে ইমরান খান সৌদি ও আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন। বিশেষত গত এক মাস যাবৎ সেখানে কারফিউর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ উপত্যকাটিতে বসবাসের স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি।
ইমরান খান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি সরাতে ভারত নতুন কোনো উত্তেজনা তৈরি করবে বলেও আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দফতরের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে সৌদি ও আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দেশের অবস্থান ব্যক্ত করেন।
পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্কের কথা জানিয়ে তারা এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার প্রতি জোর দেন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কাশ্মীরের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সৌদি ও আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টির শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী সমাধানে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশ দু’টি সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলেও আশ্বাস দেন তারা।