দেবতাকে খুশি করতে ২৩০ শিশুকে বলি!

মানুষ নিজের, পরিবারের বা সমাজের মঙ্গলের জন্য কত কিছুই না করে। সৃষ্টিকর্তা বা দেবতাদের খুশি করতে অর্থ-সম্পদ দানের পাশাপাশি গৃহপালিত পশুও উৎসর্গ করার চল সব সমাজেই আছে। মানব বলির ঘটনাও আছে কোনো কোনো সমাজে। দেবতাকে খুশি করতে এক-দুই বা দু-চারটা নয়, একসঙ্গে শতাধিক শিশু বলির ঘটনাও ঘটেছে কোনো কোনো সমাজে! এই ধরনের ঘটনা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে। সম্প্রতি দেশটিতে সবচেয়ে বেশি শিশু বলি দেওয়ার নিদর্শন আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। দেশটির রাজধানীর লিমার উত্তর দিকের উপকূলীয় শহর হুয়ানচাকোর একটি মন্দিরের পাশে পাওয়া গেছে ২২৭টি শিশুর দেহাবশেষ।

সম্ভবত ৫০০ বছরেরও বেশি সময় আগে ওই শিশুদের বলি দেওয়া হয়েছে।

নতুন গণকবরে পাওয়া মৃতদেহগুলোর কয়েকটিতে এত বছর পরও চুল এবং চামড়া পাওয়া গেছে বলে জানান প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

মৃতদেহগুলো পরীক্ষা করে তারা বলেন, খুব সম্ভবত বৃষ্টিভেজা আবহাওয়ায় ওই শিশুদের হত্যা করা হয়। মৃতদেহগুলো সমুদ্রের দিকে মুখ করে কবর দেওয়া ছিল। তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, চিমু সভ্যতার লোকজন তাদের দেবতার সন্তুষ্টির জন্য ওই শিশুদেরকে বলি দিয়েছিল।

পেরুর উত্তর উপকূলে চিমু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। যা ওই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী সভ্যতাগুলোর একটি। ১২০০ শতাব্দী থেকে ১৪০০ শতাব্দীর মধ্যে চিমু সভ্যতার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে ইনকাদের আক্রমণে চিমু সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়। চিমু সভ্যতার লোকজন চাঁদকে দেবতা মানত; যার নাম ছিল ‘শি’। তাদের বিশ্বাস ছিল, চাঁদ সূর্যের চেয়েও শক্তিশালী। দেবতাকে তুষ্ট রাখতে তারা প্রায়ই নরবলি দিত। বিবিসি

Scroll to Top