যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও ও টেক্সাস এই দুটি রাজ্যে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন আরো ৪২ জন৷
রবিবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া একটায় দেশটির ওহিও রাজ্যের ডেটন এলাকায় বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ হামলায় অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ এর কয়েকঘণ্টা আগে দেশটির টেক্সাস রাজ্যের এল পাসো শহরের একটি শপিংমলে আরেক বন্দুকধালীর হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন৷ টেক্সাস পুলিশ জানায়, এ হামলায় অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন৷
ওহিওর বারে হামলা ওহিও রাজ্যের ডেটন শহরের একটি বারের সামনে থাকা লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে এক বন্দুকধারী৷ বন্দুকধারী এ ব্যক্তি এসময় বারে প্রবেশ করতে চাইলে ঐ এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে থামাতে গুলি ছুড়ে৷ তখন পুলিশের গুলিতে নিহত হন এই হামলাকারী৷ তবে হামলাকারীর বিস্তারিত পরিচয় এখনো কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ৷ পুলিশ জানায় যে, ঘটনাস্থলের পাশেই দায়িত্বরত অবস্থায় ছিল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা৷ গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ও হামলাকারীকে থামাতে পাল্টা গুলি করে৷ তবে কী কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কোন তথ্য জানায়নি পুলিশ৷
টেক্সাসে হামলা শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দেশটির টেক্সাস রাজ্যের এল পাসো শহরে ওয়ালমার্টের একটি দোকানে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হন৷ এ ঘটনায় পুলিশ ২১ বছর বয়সি একজনকে আটক করেছে৷ মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে যে হামলাকারী ডালাস এলাকার একজন বাসিন্দা৷
টেক্সাসের মেয়র গ্রেগ অ্যাবট এই ঘটনাকে সেখানকার ‘ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন৷
পুলিশ জানায় তারা এই ঘটনার তদন্ত করছে৷ তবে পুলিশ এটিকে ‘হেইট-ক্রাইম’ বলে সন্দেহ করছে৷ এল পাসো শহরের পুলিশ বিভাগের প্রধান গ্রেগ আলেন বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের কাছে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে তাতে মনে হচ্ছে যে এটি একটি হেইট ক্রাইম৷” সূত্র: ডয়চে ভেল, এএফপি, ডিপিএ, সিএনএন।