ভারতে একত্রে তিন তালাক দেয়াকে ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে গণ্য করে গত সপ্তাহেই একটি আইন পাশ হয়েছে। এরপর এক সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই এই আইনে মামলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার দেশটির মধ্য প্রদেশের এক তরুণী এই আইনে একটি মামলা করেছেন তার স্বামীর নামে। ভালোবেসে বাবার ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই তালাকের এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তরুণীর।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর, আসমা নামের ১৮ বছরের তরুণী তার স্বামী মহীন মনসুরির বিরুদ্ধে শুক্রবার থানায় যান। পুলিশকে ওই তরুণী জানান, গত ২৪ জুলাই তাকে বেধড়ক মারধর করে মনসুর। ডেকে আনে মাকে। একসঙ্গে ঘর করতে পারবে না বলে জানায়। তাতে রাজি না হলে, মুখের উপর তিন তালাক দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
উত্তর প্রদেশের বরওয়ানির পুলিশ সুপার ডি এল তেনিওয়ার বলেন, ‘মহীন তাকে প্রায়ই মারধর করত, মানসিক নির্যাতন চালাত এবং যৌতুকের দাবি করত বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। তার ভিত্তিতে ৪৯৮-এ (পারিবারিক হিংসা) এবং বিবাহিত মুসলিম মহিলাদের অধিকার রক্ষা আইন ২০১৯-এর আওতায় মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি আমরা। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’
স্থানীয়রা জানান, ফেসবুকেই প্রথম মহীনের সঙ্গে আলাপ হয় আসমার। এ বছর ১৪ এপ্রিল মহীনের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি। বাবা-মা মামলা করলে পর দিন থানায় হাজির হন আসমা। নিজেকে প্রাপ্তবয়স্ক বলে ঘোষণা করেন তিনি। মহীনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলেও জানান আসমা। সেই থেকে বরওয়ানির রাজপুরে সংসার ছিল দু’জনের।
ইত্তেফাক