ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে তিন বছরের একটি শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের পর তাকে হত্যা করেছে দুই যুবক। ভারতের ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের এই ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। শনিবার (২৭ জুলাই) গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্ত এখনো জানাতে পারেনি শিশুটির শিরশ্ছেদ করার পর মাথাটি কোথায় রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত রিঙ্কু সাহু ও কৈলাস পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। যেখানে শিশুটির ছিন্ন দেহ প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফেলে এসেছিল তারা। পুলিশ গোয়েন্দা কুকুরের সাহায্যে ছিন্ন মাথাটির খোঁজে তল্লাশি চালালেও প্রবল বৃষ্টির কারণে এখনো তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। রিঙ্কু সাহু এবং তার বন্ধু কৈলাস দু\’জনেরই বয়স ৩০-এর উপরে।
তারা পুলিশকে জানিয়েছে, শিশুটি কান্না থামাচ্ছিল না। তাই তারা সারাদিন ধরে ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করার পর তাকে হত্যা করে। মঙ্গলবার স্টেশন থেকে ৪ কি.মি দূরে আবর্জনার স্তূপের ধারে ঝোপের আড়াল থেকে দেহটি আবিষ্কৃত হয়।
গত বৃহস্পতিবার শিশুটি তার মায়ের কোলে ঘুমচ্ছিল টাটানগর রেলওয়ে স্টেশনে। সেখান থেকেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায় টিশার্ট আর শর্টস পরা একটি লোক শিশুটিকে কোলে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কয়েক ঘণ্টা পরে শিশুকে খুঁজে না পেয়ে তার মা পুলিশের কাছে যান।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশের পক্ষে সহজ হয়েছে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা। রিঙ্কু সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ‘আমি ওকে তুলে নিয়ে ভুল করে ওখান থেকে বেরিয়ে আসি। আমি পারিনি এবং ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’
রিঙ্কুর মা একজন কনস্টেবল। প্রতিবেশীদের দাবি, এর আগের সমস্ত অপরাধের ক্ষেত্রে তিনি ছেলের অপরাধকে লঘু প্রতিপন্ন করতে সহায়তা করেছেন। তিন সন্তানের বাবা রিঙ্কু এর আগেও শিশু অপহরণ ও নিগ্রহের ঘটনা ঘটিয়েছে। কৈলাসের বাবা একজন জওয়ান। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত।