ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি যুক্তরাজ্যে নতুন স্বর্ণযুগের সূচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর হাউস অব কমন্সে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। তিনি যেকোনো মূল্যে ব্রেক্সিট সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর আগে তিনি পুরনো মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল করে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।
বরিস জনসন আরো বলেন, ব্রেক্সিটের জন্য ‘ডিল’ কিংবা ‘নো-ডিল’ উভয় প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। তবে একটি গ্রহণযোগ্য চুক্তির মাধ্যমেই এই চুক্তি কার্যকর করতে আমরা চেষ্টা করব। পূর্বসূরি থেরেসা মের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দক্ষ হাতে ব্রেক্সিট ইস্যু সমাধান করতে ব্যর্থ হবার কারণে তাকে পদ ছাড়তে হয়েছে। নিজের বেলায় এমন কিছু ঘটবে না বলে তিনি আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন। তিনি দেশবাসীকে তার উপর আস্থা রাখতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে তিনি কোনো চুক্তির ভেতর যাবেন না। যুক্তরাজ্যের পক্ষে যেটি উপযোগী সেটাই করা হবে।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠন: এদিকে, ব্রেক্সিটের পক্ষে অবস্থান নেওয়া প্রভাবশালী কনজারভেটিভদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। তার ৩১ সদস্যের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন আট নারী। মের মন্ত্রিসভায় ব্রেক্সিট সমর্থক ছিলেন মাত্র ছয় জন, এবার এ সংখ্যা ১২। নতুন মন্ত্রিসভায় সাজিদ সাভিদকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ডমিনিক রাব ও প্রীতি প্যাটেলকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে যথাক্রমে-পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে। বেন ওয়ালেস পেয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে এসেছেন যথাক্রমে গেভিন উইলিয়ামসন ও নিকি মরগান। আন্দ্রিয়া লিডসমকে দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দায়িত্ব পেয়েছেন লিজ ট্রুস।-বিবিসি
ইত্তেফাক