কূটনীতিক হত্যার জবাবে ইরাকে তুরস্কের বিমান হামলা

ইরাকের কুর্দিস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। বৃহস্পতিবার এ অঞ্চলে আঙ্কারার এক কূটনীতিককে হত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান। খবর এএফপি\’র।

এর আগে, বুধবার ইরাকের স্বায়ত্ত্বশাসিত কুর্দি অঞ্চলে তুরস্কের ভাইস কনসাল আর্বিলে নিহত হন। পুলিশ জানায়, ওই বন্দুক হামলায় আরও দুই জন প্রাণ হারান। এখন পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। তবে এ হামলার পেছনে তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) হাত থাকতে পারে বলে ইরাকের অনেক বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন। পিকেকে\’কে আঙ্কারা একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত করে।

এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর বলেন, \’আর্বিলে শয়তানি হামলার পর আমরা কান্দিলে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছি। আর এটি ছিল (পিকেকে) সন্ত্রাসী গ্রুপটিকে মোকাবেলায় একটি বড় আঘাত।\’ তুরস্কের বিমানবাহিনীর সদস্যরা সেখানে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন স্থাপনা ও অস্ত্রগুদাম গুড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, \’সন্ত্রাসীরা একেবারে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে এবং আমরা আমাদের শহীদদের প্রতিশোধ নেবো।

তুরস্কের সঙ্গে কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির (কেডিপি) ভাল রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। দলটি বর্তমানে আঞ্চলিক সরকারের নেতৃত্বে রয়েছে। কিন্তু তুরস্ক পিকেকে\’কে সমূলে উৎখাত করতে গত মে মাস থেকে পার্বত্য উত্তরাঞ্চলে স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। পিকেকে ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে।

এ মাসের গোড়ার দিকে পিকেকে জানায়, তুরস্কের এক অভিযানে পিকেকে\’র সিনিয়র নেতা দিয়ার গারিব মোহাম্মদ নিহত হয়েছেন। তার সঙ্গে অপর দুই যোদ্ধাও নিহত হন। এদিকে পিকেকে\’র সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র বুধবারের বন্দুক হামলায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

Scroll to Top