যত সময় এগোচ্ছে, ক্রমশই নাটক জমে উঠছে কর্ণাটকে। নিজের সরকার কি ধরে রাখতে পারবেন কুমারস্বামী? কথা ছিল আজ শুক্রবার দুপুর দেড়টার মধ্যে বিধানসভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে কুমারস্বামী সরকারকে। কিন্তু দু’পক্ষের তর্ক বিতর্কের মাঝে সময়সীমা বাড়ানো হল সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।
১৭ জুলাই দেশের শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, কর্ণাটকের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের আস্থা ভোটে বাধ্য করা যাবে না। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাল কর্ণাটক কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবারই কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটের কথা ছিল। কিন্তু নানা টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। এরপরই আসরে নামেন রাজ্যপাল বাজুভাই বালা। শুক্রবার দুপুর দেড়টার মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে, কুমারস্বামী ও বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি লিখে এমন নির্দেশই দেন রাজ্যপাল।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, “১৫ জন সদস্য আমার সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, আপনার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় এটা হতে পারে না।
কুমারস্বামীকে পাঠানো রাজ্যপালের চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কর্ণাটকের অধ্যক্ষকেও। এর আগে আস্থা ভোট সম্পন্ন করতে অধ্যক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের হাতে রয়েছেন ১১৭ জন বিধায়ক। এদের মধ্যে কংগ্রেসের হাতে ৭৮ জন, জেডিএসের ৩৭, বিএসপির হাতে ১ ও আরেকজন মনোনীত।
অন্যদিকে, বিরোধী পক্ষ বিজেপির হাতে রয়েছেন ১০৭ জন বিধায়ক। ১৫ জন বিধায়কের ইস্তফা গৃহীত হলে, কুমারস্বামী সরকারের হাতে থাকবেন ১০১ জন বিধায়ক। যার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে ১৪ মাসের কুমারস্বামী সরকার।