মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট দলীয় কয়েকজন নারী কংগ্রেস সদস্যকে ‘নিজ দেশে ফিরে যাওয়া’র পরামর্শ দেওয়ার পর একে বর্ণবাদী মন্তব্য আখ্যা দিয়ে তার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। সমালোচকদের দলে যোগ দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেও।
মে বলেছেন, ‘ট্রাম্পের বক্তব্য একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না’। বিশেষ করে ওই নারী সদস্যদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে ট্রাম্প যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’।
ডেমোক্র্যাটরা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে বিভক্ত করা এবং শ্বেতাঙ্গময় করাই ট্রাম্পের উদ্দেশ্য। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা বিরল ঘটনা।
ট্রাম্প যে চার নারী কংগ্রেসের সদস্যকে দেশে ফিরতে বলেছেন, তার মধ্যে প্রথম তিনজনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে, একমাত্র ইলহান ওমরই শিশু অবস্থায় শরণার্থী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সেখানে বেড়ে ওঠেন।
এদিকে, নিজের মন্তব্যে কড়া সমালোচনা হচ্ছে জেনেও আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন ট্রাম্প। গতকাল হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের দেশকে ঘৃণা করেন তাই তাদের দেশে ফিরে যেতে বলা উচিত কাজ হয়েছে। তারা যদি সারাক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে অভিযোগ করেই যান, তবে ‘ফিরে যাও’ বলা অন্যায় নয়। অনেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেও তার দেশকে ঘৃণা করে বলে ট্রাম্প দাবি করেন। তাই তারা যদি সুখী না হন, এখানে থেকে কি করবেন!’ সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না বলে তিনি জানান।-বিবিসি