চীনপন্থী প্রত্যর্পণ বিল পুরোপুরি বাতিলের দাবিতে গত ১৬ জুন হংকংয়ে অন্তত ২০ লাখ বিক্ষোভকারী রাজপথে নামে। প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ মার্চ শেষে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ শেষ করে। বিক্ষোভ শেষ করে বিক্ষোভকারীরা সোজা বাড়ি ফিরে যায়নি, এদের অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় পড়ে থাকা আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন আবর্জনা পরিস্কারের কাজে নেমে পড়ে। খবর ইন্ডিপেনডেন্টের।
বিক্ষোভকারীদের রাস্তা পরিস্কারের বিষয়টি ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এছাড়া আন্দোলন চলাকালীন সময় ওই রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন জরুরি বাস যাওয়ার পথ ফাঁকা করে দেন আন্দোলনকারীরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ শেষে অনেক আন্দোলনকারী গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তা পরিস্কারের কাজে নেমে পড়ে। বিক্ষোভের ফলে রাস্তায় অনেক প্ল্যাকার্ড, বিভিন্ন কাগজ, পানির বোতল ও বিভিন্ন আবর্জনা পড়ে থাকে। রাস্তায় পড়ে থাকা এসব আবর্জনা পুরোপুরি পরিস্কার করে বাসায় ফিরে আন্দোলনকারীরা।
এনি চ্যান নামে একজন ইন্ডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘আমি ওই আন্দোলনে ছিলাম, আমি সবকিছু দেখেছি।অনেক আন্দোলনকারী গত রাতে রাস্তা পরিস্কার করে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনে অংশ নেয়া এক স্কুল শিক্ষার্থী বলেন, গতকালের (রবিবার) আন্দোলন সুন্দর ছিল, আন্দোলনকারীরা অনেক শান্ত ছিল।’
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে অনেক বয়স্করাও অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ খারাপ বোধ করলে তাদের ঘিরে রাখা হত এবং পানি ও খাবার দেয়া হত।
গত রবিবার প্রত্যর্পণ বিল পুরোপুরি বাতিল ছাড়াও লাখ লাখ বিক্ষোভকারী হংকংয়ের চীনপন্থি প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের পদত্যাগ দাবি করে। ইতিমধ্যে বিক্ষোভের মুখে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধান নির্বাহী লাম।
বিক্ষোভকারীরা হংকংয়ের শাসক লামের পদত্যাগ, বিলের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বাতিল ও বল প্রয়োগের জন্য পুলিশকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানায়।
বিচারের জন্য বাসিন্দাদের চীনের মূল ভূখণ্ডে পাঠানোর সুযোগ রেখে একটি বহিঃসমর্পণ বিল পাসের উদ্যোগ নিয়েছিল হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো নিরাপদ মনে করছে না হংকংয়ের বাসিন্দারা।
তারা মনে করছেন, বিলটি পাস হলে তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়াবে।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এসকেবি