জুমার নামাজে ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে বন্দুক হামলাকারী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট (২৮) তার অপরাধ স্বীকার করেননি। ট্যারেন্ট ৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অভিযুক্ত। হাইকোর্ট জাস্টিস ক্যামেরুন ম্যান্ডার জানিয়েছেন, আগামী বছরের ৪ মে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। তবে ১৬ আগস্ট হবে রিভিউ শুনানি। সে পর্যন্ত ট্যারেন্ট রিমান্ডে থাকবেন। দ্য গার্ডিয়ানের।
অকল্যান্ডের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কারাগার থেকে শুক্রবার (১৪ জুন) ট্যারেন্টকে ক্রাইস্টচার্চের হাইকোর্টে হাজির করা হয়। বড় পর্দায় আদালতের দর্শনার্থীরা তাকে দেখতে পান। এদিন ট্যারেন্টের পরনে ছিল কয়েদি পোশাক। তাকে ঘিরে ছিল তিন জন নিরাপত্তা অফিসার।
ট্যারেন্টের আইনজীবী শেন টেইট অপরাধ স্বীকারের বিষয়ে জানতে চাইলে হামলাকারী ট্যারেন্ট তাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি কোনো অভিযোগই স্বীকার করেননি। এছাড়া, তার মধ্যে দেখা মেলেনি কোনো মানবিক ভাবাবেগেরও।
১৪০ জনের মতো শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। ট্যারেন্ট অপরাধ মেনে না নিলে সবার মধ্যে দীর্ঘশ্বাস ও হতাশা দেখা যায়। ট্যারেন্টের বন্দুক হামলায় নিহত হুসাইন আল-উমারির স্বজন জানা ইজাত কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, কেন সে আমাদের সঙ্গে খেলছে। বলছে সে অপরাধ করেনি!
স্বজন হারানো দিদার হোসেন জানান, তিনি ২০২০ সালে মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান না।
‘আমি প্রতি শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যাই। কিন্তু তাদের দেখিনা। আমার মন ভেঙে যায়।’ বলেন দিদার।
শুনানির পর হামলায় আহত মুস্তাফা বোজাটাস জানান, বিচারের ন্যায্যতা আসবে। আমরা ঘৃণাকে ভালবাসায় রূপান্তরিত করবো।
এছাড়া, বিচারক ক্যামেরুন ম্যান্ডার ট্যারেন্টকে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ঘোষণা দিয়েছেন। হত্যকাণ্ডে অপ্রাপ্তবয়স্ক তিন জন ছাড়া বাকিদের পরিচয় প্রকাশের অনুমতিও দিয়েছেন আদালত। ট্যারেন্টের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশেরও অনুমতি দিয়েছেন তিনি।
গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে হামলার পর গ্রেফতার ট্যারেন্টকে এবার তৃতীয়বারের মতো আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে হাজির করা হয়। সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এনপিবি