ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই দেশটি সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বুধবার রাষ্ট্রীয় সফরে তার তেহরান পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরের একদিন আগে মঙ্গলবার ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবারের ফোনালাপে ইরান পরিস্থিতি ছাড়াও আঞ্চলিক নানা বিষয়াদি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী। টোকিওতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক সচিব ইয়োশিহিদে সুদা দুই নেতার ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি প্রায় ২০ মিনিটের ফোনালাপের বিস্তারিত জানাননি।
এর আগে ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে দেশটি সফরে যান জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস। ইরাক সফর শেষে সোমবার ভোরে তেহরানে পৌঁছান তিনি। সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ-এর সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচি রয়েছে তার।
সাক্ষাৎকালে জার্মানিসহ পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা এবং ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য ইউরোপের তৈরি বিশেষ ব্যবস্থা ইন্সটেক্স-এর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
২০১৮ সালের মে মাসে আমেরিকার পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই ইউরোপ ইরানকে এ রকম একটি বিশেষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালুর আশ্বাস দিয়ে তেহরানকে এ সমঝোতায় ধরে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু সে ব্যবস্থা তৈরি করতেই প্রায় আট মাস লেগে যায়।
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি পরমাণু সমঝোতার আওতায় ইরানকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সুবিধা দেয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা কার্যকরে দেশগুলো দৃশ্যত ব্যর্থ হয়েছে।
এ অবস্থায় ইরান সম্প্রতি ইউরোপকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তেহরান ইউরোপের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতেই তেহরান সফরে যান জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর বুধবার দেশটিতে যাচ্ছেন আমেরিকার মিত্র দেশ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এসকেবি