ইউরোপের কয়েকটি দেশের পরে এবার অস্ট্রেলিয়ারও কার্যকর হচ্ছে বোরকা নিষিদ্ধের আইন। আগামী মাসে দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগেই আজ থেকে আইনটির কঠোর প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।
সরকারের ওই নতুন আইন বলছে, মাথার চুল পর্যন্ত মুখমণ্ডল অবশ্যই খোলা রাখতে হবে। আর সেটা না হলে তা হবে অস্ট্রেলিয়ার মূল্যবোধের পরিপন্থী।
বিবিসির খবর অনুসারে, আজ থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ওই আইনে বোরকা, নেকাবের পাশাপাশি সমস্তমুখমণ্ডল ঢেকে রাখে এমন কোনো মুখোশ সে হোক মেডিকেল বা ক্লাউনের তাও নিষিদ্ধ হবে।
তবে দেশটিতে অবস্থান করা মুসলিমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তেরে কঠোর সমালোচনা করেছে।
উল্লেখ,সম্প্রতি সিডনির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু ব্যক্তিকে আটক করে অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ। এই প্রেক্ষাপটে গত আগস্ট মাসে নিরাপত্তার স্বার্থেই অস্ট্রেলিয়ায় বোরকা নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম ও অভিবাসন বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং উগ্র ডানপন্থী দল ওয়ান নেশন পার্টির নেতা পলিন হ্যানসন।
সিনেটে বোরকা নিষিদ্ধের প্রস্তাবে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ এখন আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় হুমকি। অনেক নাগরিকই বিষয়টি নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত। দেশের এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই কি বোরকা নিষিদ্ধ করা উচিত নয়? তিনি জনসমক্ষে বোরকা পরে পুরো মুখ ঢেকে রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হওয়া উচিত বলেও দাবি জানান।
এর আগে ইউরোপের কয়েকটি দেশেও এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফ্রান্স ও বেলজিয়াম ২০১১ সালে বুরকা নিষিদ্ধ করেছে। জার্মানী, বুলগেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও চাদসহ আরো কয়েকটি দেশ সম্প্রতি বোরকা নিষিদ্ধ করে।
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৫ ঘণ্টা, ০১ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ