মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা হলো না সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলির

দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রায় ৮ হাজার অতিথির উপস্থিতিতে মোদি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন।

৬৮ বছর বয়সী মোদি এবার ৫০ জনেরও বেশি সদস্য নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। মন্ত্রিসভায় এবার যেমন ঠাঁই পেয়েছে অনেক নতুন মুখ তেমনি বাদ পড়েছে অনেক পরিচিত মুখ। বাদপড়াদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, গতবারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও গত সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহাসহ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল। খবর এনডিটিভির

অরুণ জেটলি: সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, যিনি গত ১৮ মাস ধরে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘বর্তমানে, নতুন সরকারে কোনও দায়িত্বে\’\’ তিনি থাকতে চান না। আইনজীবী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা জেটলি বরাবরই বিজেপির প্রথম সারির নেতা। একদিকে যেমন গত পাঁচ বছরে বহু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, পাশাপাশি সরকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সমর্থন করে বক্তব্যও রেখেছেন তিনি।

সুষমা স্বরাজ: সুষমা স্বরাজ, যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন‌ বগত সরকারের, তাকে বৃহস্পতিবার দর্শক সারিতে বসে প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তখনই বোঝা যায়, এই প্রথম বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলেন না বর্ষীয়ান নেত্রী। ৬৭ বছরের সুষমা সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিপদের সময় সাহায্য প্রার্থনা করলে খুব দ্রুত সাড়া দেওয়া জন্যও তিনি টুইটারে প্রবল জনপ্রিয়। এমনকী, মজা করে করা অনুরোধেও তিনি সাড়া দিয়েছেন।

রাজ্যবর্ধন রাঠৌর: নতুন ও পুরনো মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত আগের মোদি সরকারের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ ছিলেন অলিম্পিয়ান রাজ্যবর্ধন রাঠৌর। ৪৯ বছরের রাজ্যবর্ধন সেই ফোনটি পাননি, যে ফোনের অপেক্ষায় বিজেপির জোটের বিজয়ী প্রার্থীরা ছিলেন। পরে তাকে দেখা যায়, মোদির পরে শপথগ্রহণের জন্য অপেক্ষমাণ বিজয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নয়, দর্শক আসনে বসে থাকতে। রাজস্থান থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য জয়ী এই বিজেপি সাংসদ রাজ্যবর্ধন রাঠৌর একজন সাবেক আর্মি কর্নেল।

মানেকা গান্ধী: নরেন্দ্র মোদির নতুন সরকারে অস্থায়ী স্পিকারের দায়িত্বে থাকবেন মানেকা গান্ধী। ৬২ বছরের বিজেপি নেত্রী চারটি সরকারে মন্ত্রী থেকেছেন। গত মন্ত্রিসভাতেও তিনি নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এবার নবনির্বাচিত সাংসদরা শপথগ্রহণ করবেন মানেকার সামনে। পাশাপাশি লোকসভার প্রথম অধিবেশনে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। ওই অধিবেশনে স্পিকার নির্বাচন হবে।

জয়ন্ত সিনহা: গত সরকারে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন জয়ন্ত সিনহা। কিন্তু এবার মন্ত্রিসভায় তিনি কোনও দায়িত্ব পাননি। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা আইআইটি দিল্লি এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে বিমান চালনা শিখে আসা জয়ন্তকে ২০১৪ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন বছর পরে তাকে বেসামরিক বিমানে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জয়ন্তর বাবা যশোবন্ত সিনহা ছিলেন একজন সাবেক বিজেপি নেতা।

লেটেস্টবিডিনিউজ/এসএনএস

Scroll to Top