প্রথমবার মন্ত্রী হলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধান অমিত অনিল চন্দ্র শাহ (অমিত শাহ), যাকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার নেপথ্যের কারিগর হিসেবে দেখা হচ্ছে; তিনি প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি শপথ নেয়ার পর প্রথমে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অমিত শাহ। মন্ত্রিসভায় প্রথমবার ঠাঁই পাওয়া অমিত শাহকে কোন মন্ত্রণালয় দেয়া হবে তা এখনো জানানো হয়নি।

বিজেপি সভাপতির পরপরই শপথ নেন মোদির প্রথমবারের মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও আগের মন্ত্রিসভার সড়ক পরিবহন, জাহাজসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী নিতীন গাড়করী। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের একে একে শপথ বাক্য পাঠ করান দেশটির ১৪তম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

২৩ মে ভারতের সাত দফার ম্যারাথন ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টানা ক্ষমতায় আসেন বিজেপি। তখন থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, বিজেপি প্রধান অমিত শাহ এবার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতেন পারেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনের চেয়ে দেশটিতে এবার প্রবল গতিতে উত্থান ঘটেছে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপির। ভারতের গত ৪৮ বছরের নির্বাচনী ইতিহাসে কোনো দলই তিন শতাধিক আসনে জয়ী হয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারেনি। নরেন্দ্র মোদির বিজেপি গত চার যুগের এই রেকর্ড ভেঙে এবার একাই তিনশ\’র বেশি আসনে জয় পেয়েছে। এর নেপথ্যের কারিগর অমিত শাহ। নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। বিজেপির উন্নয়নের ফিরিস্তি জনগণের সামনে তুলে ধরে আবারও শক্তিশালী ভারত গড়ার সুযোগ দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

দেশটির ৫৪২ আসনের লোকসভার ১৭তম নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ করেছে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে একক দল হিসেবে বিজেপি ৩০৩টি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গীরা ৫১ এবং দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পেয়েছে ৫২টি আসন।

প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে রাইসিনা হিলসে ছিল বিপুল আয়োজন। ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত এই শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান হতো রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে। কিন্তু আগেরবার মোদির শপথের সময়ই রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরের লনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এবারও সেখানেই হচ্ছে শপথের অনুষ্ঠান। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, শিল্পপতি, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মিলিয়ে এবার অতিথির সংখ্যা প্রায় আট হাজার।

দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি চলচ্চিত্র তারকা, ব্যবসায়ী ও অন্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

লেটেস্টবিডিনিউজ/এসএনএস

Scroll to Top