এবারের লোকসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর রাহুল গান্ধীর জমা দেওয়া পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি।
২৩ মে প্রকাশিত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে কংগ্রেসের ফল বিপর্যয়ের চিত্র ফুটে ওঠে। এমন শোচনীয় পরাজয়ের কারণ খুঁজতে ২৫ মে কংগ্রেস গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করছে। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির এ বৈঠকে দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দেন রাহুল গান্ধী। তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস।
এবার দ্বিতীয়বারের মতো নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে দিল্লির মসনদে বসতে যাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন এনডিএ। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবার ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৩৫২টিতে জয় লাভ করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৪৪টি আসন পেয়ে হারে কংগ্রেস। আর এবার তারা পেয়েছে মাত্র ৫২ আসন।
এমন পরাজয়ের কারণ খোঁজার চেষ্টা চলে বৈঠকে। এবারের নির্বাচনের সময় সারাদেশে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন রাহুল ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তারপরও নির্বাচনের এ ফল বিপর্যয় দলের জন্য অনেক বড় ধাক্কা।
মোদির বিরুদ্ধে রাহুলের ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ প্রচারণা ভোটারদের মন জয় করতে পারেনি। উল্লেখ্য, মোদি নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে নিজেকে ভোটারদের কাছে ‘চৌকিদার’ বলে উপস্থাপন করতেন।
১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে দলটি নেতৃত্ব দেয়। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করলে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয় কংগ্রেস। সেই থেকে নেহেরু-গান্ধী পরিবারই কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।