ধর্ষণসহ সব ধরনের পরিস্থিতিতেই গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিল পাস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের আইনপ্রণেতারা।
মঙ্গলবার বিলটি অঙ্গরাজ্যের সিনেটে পাস হয়। এতে এর পক্ষে ভোট দেন ২৫ জন এবং বিপক্ষে ভোট দেন ছয়জন আইনপ্রণেতা। এটিকে আইনে পরিণত করতে এখন শুধু গভর্নরের স্বাক্ষরের দরকার। খবর বিবিসির।
বিলে বলা হয়েছে, এখন থেকে মায়ের মৃত্যু ঝুঁকি আছে এমন পরিস্থিতি ঠেকাতেই কেবল গর্ভপাত করানো যাবে। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতের অধিকারের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। অধিকারকর্মীরা আশা করছেন, এটি ১৯৭৩ সালের গর্ভপাতকে বৈধ করে আদালতের ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করবে। এর আগে এই বিলটি আলাবামার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টাটিভে ৭৪-৩ ভোটে পাস হয়েছিল।
মঙ্গলবার ফের তা তোলা হয় সিনেটে। চার ঘণ্টার বিতর্কের পর রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন সিনেটে ২৫-৬ ভোটে পাস হয় বিলটি। বিলটি এরপর স্বাক্ষরের জন্য যাবে রিপাবলিকান গভর্নর কে লভের কাছে। তিনি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তবে এর আগে তাকে গর্ভপাতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
বিলটি আইনে পরিণত হলে গর্ভপাত করানোর জন্য চিকিৎসকরা সাজার মুখোমুখি হবেন। গর্ভপাতের প্রচেষ্টার জন্য ১০ বছর এবং গর্ভপাত করানোর জন্য ৯৯ বছর পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে তাদের। তবে যে নারীর গর্ভপাত হয়েছে তাকে অপরাধী হিসেবে দায়ী করা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি নারী সংগঠন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। একে আলাবামা ও সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের জন্য একটি কালো দিন হিসেবে ঘোষণা করেছে সংগঠনগুলো।
তবে বিলের পক্ষেও সরব আছেন রাজনীতিবিদরা। রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা টেরি কলিন্স বলেন, বিলটিতে আমরা বলতে চাচ্ছি, গর্ভে থাকা শিশুটিও একজন মানুষ।
এর বিরোধিতা করে ডেমোক্র্যাট সিনেটর রজার স্মিদারম্যান বলেন, আমরা বলতে চাচ্ছি, ১২ বছরের একটি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হলে তার সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।