মো:হৃদয় সম্রাট : সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই হাঁকডাকে জমজমাট হয়ে ওঠে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার হরেক রকমের ভর্তার দোকান। ইলিশ মাছ ভর্তা, বাদাম ভর্তা, শিম ভর্তা, রুই মাছ ভর্তা, মরিচ ভর্তা, চিকেন ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, কালো জিরা ভর্তা, আলু ভর্তা, পেঁপে ভর্তা, ডাল ভর্তা, ধনে পাতা ভর্তা, সরিষা ভর্তাসহ আরও অনেক ধরনের টাটকা ভর্তা নিয়ে বসে থাকেন দোকানিরা।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বটতলা প্রাঙ্গনে জমতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের ভীড়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরাই না, বরং দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেক ভর্তা প্রেমিকেরা।
বটতলা প্রাঙ্গনজুড়ে রয়েছে প্রায় ২৫টিরও বেশি খাবারের দোকান। প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন তৈরী হয় প্রায় ৩০ ধরনের খাবার, ছুটির দিনে সংখ্যায় গিয়ে দাড়ায় ৪০।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাজনীন উম্মি বলেন, আমি যেহেতু হলে থাকি সেহেতু আমাদের আড্ডার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এই বটতলা ,আর সাথে এত খাবার যেন আড্ডাটাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রিমি বলেন, বন্ধুদের মুখে অনেক প্রশংসা শুনেছি তাই আজ ঘুরতে এসেছি,খুব ভালো লাগছে এত রকম ভর্তা এক সাথে দেখে, তিনি বলেন, সব রকম ভর্তা খেয়েছি তবে ইলিশ ভর্তাটা বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
প্রতিদিন নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষে ভরপুর হয়ে ওঠে এই প্রাঙ্গন। যত রাত বাড়ে তত জমজমাট হতে থাকে এই বটতলা।