বন্যাকবলিত দেশের ১১টি জেলায় মোট ৬ হাজার ৯৮৬টি মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে ১ হাজার ৫১০টি টাওয়ায় অচল হয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকায় মুঠোফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী ও খাগড়াছড়ির মোবাইল টাওয়ার। জেলা দুটিতে যথাক্রমে ৪২.৪ ও ৪১.৫ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে গেছে। বন্যাকবলিত সব জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু রাখার পাশাপাশি দ্রুত টাওয়ার মেরামতের জন্য নিজেদের সব দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। শুধু তা–ই নয়, বন্যাকবলিত এলাকার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় পাঁচটি ভি-স্যাট (ভেরি স্মল অ্যাপারচার টার্মিনাল) ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আরও পাঁচটি ভি-স্যাট পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন্যাকবলিত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সেখান থেকে সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন বিটিআরসি, বিটিসিএল ও টেলিটকে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
মোবাইল টাওয়ার সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব মোবাইল অপারেটর ও টাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইল টাওয়ারের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজও করছে সংস্থাটি।
মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্কব্যবস্থা সচল রাখতে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপ (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের জন্য এরই মধ্যে ৫০০ মেগাবাইট ইন্টারনেট ডেটা বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে মোবাইল ফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।