এ মুহূর্তে অ্যাপলের আইফোন ১৫ প্রো ছাড়া আর কোনো ফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ফিচার নেই। সেপ্টেম্বরে বাজারে আসতে পারে আইফোন ১৬। আইফোন ১৬র সব মডেলে এআই সক্ষমতা থাকবে বলেই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এর পাশাপাশি ২০২৫ এর শুরুর দিকে বাজারে আসতে পারে এআই ফিচারসহ আইফোন এসই।
ব্লমবার্গের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তি ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ।
প্রথাগতভাবে অ্যাপলের সবচেয়ে সস্তা ফোন হচ্ছে আইফোন এসই। সর্বশেষ ২০২২ সালে বাজারে আনা হয়েছিল এসই মডেলের ফোন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ফোনের দাম ৫০০ মার্কিন ডলারের কম রাখা হলে এটি বেশ ব্যবসা সফল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার বাজারে অন্যান্য মিডরেঞ্জের স্মার্টফোনকে টেক্কা দিতে পারবে আইফোন এসই। তবে এখনো দামের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আইফোন এসইর ক্ষেত্রে পুরনো কোনো একটি মডেলের ফোনে (সর্বশেষ আইফোন ৮ ব্যবহার করা হয়েছে) কিছু ফিচার যোগ করে একে নতুন করে বাজারে নিয়ে আসা হয়।
যার ফলে অ্যাপল ভক্তরা অনেক বেশি অর্থ খরচ না করেও আইফোনের সর্বশেষ মডেলের কিছু ফিচার ব্যবহারের সুযোগ পান।
তবে এবারের চলতি গুজব হল, নতুন এসই ফোনগুলো আইফোন ১৪ মডেলের আদলে নির্মাণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে আইফোন এক্সের আগের মডেলের ডিজাইনের বদলে সাম্প্রতিক মডেলের মতো করে একে তৈরি করা হবে। এমন কী, এতে ৬.১ ইঞ্চির ওলেড স্ক্রিনও থাকতে পারে।
মজার বিষয় হল, আইফোন ১৫ (প্রো বা ম্যাক্স নয়) এআই ফিচার চালাতে সক্ষম নয়।
সব মিলিয়ে ধারণা করা যাচ্ছে, পরবর্তী আইফোন এসই মডেলটি বেশ শক্তিশালী ও আধুনিক হতে যাচ্ছে।
আইফোন ১৬ মডেলের ঘোষণা শিগগিরই আসবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। প্রত্যাশা অনুযায়ী, এতে নতুন বেশ কিছু ফিচার থাকবে, যার মধ্যে আছে ডুয়াল ক্যামেরা ও ১৫ প্রো মডেল অ্যাকশন বাটন। আইফোন এসই মডেলে এসব ফিচার থাকার সম্ভাবনা কম।
তবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এসব ফিচার তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। স্বাভাবিকভাবেই, বাজারে আইফোনের সর্বশেষ মডেলের দাম বেশ চড়াই থাকে। আইফোন ১৬ বাজারে আসার পর একইসঙ্গে যদি আইফোন ১৪’র মতো দেখতে, কিন্তু দামে সাশ্রয়ী ও আইফোন ১৬ মডেলের অন্তত একটি ফিচার (এআই) সহ আইফোন এসই ফোনটি বাজারে থাকে, তাহলে ভোক্তারা আদতে কোন ফোনটি বেছে নেবেন, তা নিয়ে এখন চলছে জল্পনা কল্পনা।